বিশেষজ্ঞদের দাবি, সার্সের থেকেও অনেকক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস অনেক বেশি বিপজ্জনক। সংস্পর্শেই ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। চিনের ইউহান থেকে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে। হংকংয়েও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, করোনা ভাইরাসের বাহক মানুষ। মঙ্গলবারও ইউহান প্রদেশ অর্থাৎ যেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেখানকার এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনিও প্রাথমিকভাবে নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। শারীরিক পরীক্ষার পর ধরা পড়ে, তাঁর দেহে বাসা বেঁধেছে করোনা ভাইরাস। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এই রিপোর্টের পর করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ রেখে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কাজ করতে গিয়ে ইউহান মিউনিসিপ্যালিটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের পরীক্ষা করেই গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে সংস্পর্শ থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। প্রাথমিকভাবে ইউহানের সামুদ্রিক খাবার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। বেশ কিছু গবাদি পশুও আক্রান্ত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের ডিম বা মাংস থেকে মানবশরীরে প্রবেশ করে ভাইরাসটি। এর আগে এধরনের জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। পরে রক্তপরীক্ষায় মিলেছে এই করোনা ভাইরাস।
করোনা ভাইরাস কী?
নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা দ্রুত সংক্রামিত হয়। চিনের ইউহানের প্রথম করোনা সংক্রণের ঘটনা নজরে আসে। তারপর থেকে নতুন নতুন জায়গাতেও ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে।
করোনার কোথায় উৎপত্তি
চিনের ইউহান প্রদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম হদিশ। ইউহানের মাছের বাজার থেকে ছড়ায় এই ভাইরাস। এই অঞ্চলেই বেশিরভাগ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, কয়েকশো মানুষ সংক্রমণের শিকার। চিনে ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত গবাদি পশু থেকে ছড়ায় বলে করোনার ক্ষেত্রে বিপদ অনেক বেশি।
কীভাবে ছড়ায়
পশু-পাখি ও গবাদি পশুর সংস্পর্শে থাকা মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। পশুর লোম, মল থেকেই এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। সরাসরি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এই ভাইরাস, মানুষ থেকেও পশুর দেহে ছড়াতে পারে।
উপসর্গ ও লক্ষণ
প্রাথমিকভাবে সর্দি, কাশি থেকে নিউমোনিয়া। সঙ্গে প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট। এটাই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না বলে এই ভাইরাস কাবু করা কঠিন। প্রাথমিকভাবে এর উপসর্গও বোঝা শক্ত।