জেলা

দীপাবলির আগে বৃষ্টিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ মৃৎ শিল্পীদের

বাঁকুড়া: রাত পোহালেই শহর থেকে জেলা জুড়ে শুরু হবে আলোর উৎসব। দীপাবলি ও কালীপুজোর হাতে গোনা আর মাত্র দুদিন বাকি। তারই মধ্যে মেঘ-রোদ্দুরের খেলা জেলা জুড়ে আবহাওয়ার অশনিসংকেত দিচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই মহানগর থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ঘটেছে।নিম্মচাপের জেরে কালী পুজোতেও যে বৃষ্টি শহরবাসীকে এখুনি নিস্তার দেবেনা সেকথা অনেক আগেই শুনিয়ে রেখেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে ফের বুধবার থেকে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে বিরামহীন বৃষ্টি। বাদ নেই কলকাতা শহরও। আর এই অকাল বৃষ্টিতে দুর্গা পুজোর মত কালীপুজোর প্রাক্কালে সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তা এবং মৃৎশিল্পীরা। কালী পুজোর আর দু-দিনও বাকি নেই। এর মধ্যে ফের নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার কালী পুজোর আয়োজক কমিটি এবং এই জেলার মৃৎ শিল্পীরা।জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের কারনে দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল বাঁকুড়া শহরের মৃৎ শিল্পীরা। রবিবার কালী পুজো, তার আগে এই অকাল বৃষ্টি প্রতিমা তৈরীতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে একদিকে প্রতিমা তৈরীর খরচ যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে সঠিক সময় কিভাবে পুজো কমিটির হাতে প্রতিমা তুলে দেবেন, সেই চিন্তায় এখন কপালে ভাঁজ ফেলছে এখানকার শিল্পীদের কপালে।সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, বৃষ্টির হাত থেকে প্রতিমাকে বাঁচাতে পলিথিনে ঢাকা অবস্থাতেই প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন এখানকার মৃৎ শিল্পীরা’। এত বৃষ্টির মধ্যেও একনাগাড়ে তাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে, কারন একটায়। হাতে যে মাত্র আর দুদিন সময় রয়েছে। এর মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার বিভিন্ন মৃৎ শিল্পীরা।প্রতিমা তৈরি নিয়ে কথা হচ্ছিল মৃৎশিল্পী ঝন্টু চঁন্দ, রানু চঁন্দদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘প্রতিমা তৈরীতে খরচ এবার দ্বিগুণ হচ্ছে’। জলের হাত থেকে রক্ষা পেতে পলিথিন কিনতে হচ্ছে, তেমনি পুজো কমিটির সময় মতো প্রতিমা তুলে দিতে বাড়তি শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়েছে তাঁদের। সব মিলিয়ে খরচের বোঝা বাড়ছে। প্রশাসনের তরফে বারবার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কোনও ধরনের সাহায্য পাননি বলে জানান তাঁরা।