দীর্ঘক্ষণ ৩ ঘণ্টা ঘেরাও শেষে মুক্তি পেলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেমিনারে যোগ দিতে গেলে তাঁকে ঘেরাও করে রাখে পড়ুয়ারা। এর পরে স্বপন দাশগুপ্ত ঘেরাওয়ের কথা টুইট করে জানালে বিজেপিও সরব হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী। এর পরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও টুইট করে ঘেরাওয়ের নিন্দা করেন। পরে রাজ্যপাল এনিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কুমারকে ফোন করেন বলেও জানান। এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ চলছিল বিশ্বভারতীতে। কথা ছিল লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে হবে সেমিনার। কিন্তু বিক্ষোভের তীব্রতা দেখে শেষ মুহূর্তে শ্রীনিকেতনে সোশ্যাল ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয় সেমিনার। কিন্তু সেখানেও শুরু হয় বিক্ষোভ। গেট টপকে পড়ুয়াদের একাংশ ভিতরে ঢুকে পড়ে। সন্ধে সাড়ে ছ’টায় শেষ হয় সেমিনার। এর পরে রাত নটা পর্যন্ত স্বপন দাশগুপ্ত-সহ সেমিনারে যোগ দেওয়া সকলকে ঘেরাও করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। রাত ন’টা নাগাদ ওঠে ঘেরাও। বুধবার বিকেলে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ওই সেমিনারে যোগ দিতে যান রাজ্যসভা সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি আবার বিশ্বভারতীর কোট সদস্য। তবে এমন বিক্ষোভ যে হবে তা আগেই জানা ছিল। কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সেমিনারের কথা জানানো হয়। আর তার পরেই প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়।