৮৫০০ কোটি ব্যয়ে করে হবে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার
একদিকে দেশজুড়ে সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতা চরমে উঠেছে। অন্যদিকে, জাতীয় অর্থনীতি প্রায় আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে। পরপর বন্ধ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি। বিক্রি হতে বসেছে সরকারি সংস্থাও। কর্মসংস্থানের অভাবে ধুঁকছে সারা দেশ। পেঁয়াজ, আলু, রান্নার গ্যাসের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রায় রকেটের গতিতে উপরে উঠছে। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মঙ্গলবার হওয়া বৈঠকে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর পুনর্নবীকরণের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এজন্য খরচ হবে ৮৫০০ কোটি টাকা, জানিয়েছে কেন্দ্র। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অর্থনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে কূটনৈতিক মহলের মতে, সেনসাসের অন্তর্ভুক্ত এনপিআর আসলে এনআরসি লাগুর প্রথম পদক্ষেপ। সেনসাস কমিশনের ব্যাখ্যা, এনপিআর-এর আসল উদ্দেশ্য, দেশের প্রত্যেক ‘ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’ বা সেই সব নাগরিক, যাঁরা ৬ মাস বা তার বেশি কোনও একটি জায়গায় বসবাস করেছেন বা করবেন, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি করা। বিস্তারিত বায়োমেট্রিক এবং ডেমোগ্র্যাফিক নিয়েই তৈরি হবে তথ্য। প্রত্যেক ‘ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’-রই এনপিআর-এ নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। তবে এজন্য কোনও প্রমাণপত্র লাগবে না। প্রত্যেক মানুষ, যাঁরা এদেশ থাকছেন তাঁদের এনপিআর-এ নথিভুক্ত করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নন, এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প ও বেসরকারি কোম্পানিমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।