কলকাতা

নবপত্রিকা স্নান, দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা, হৃদকমলে উৎসবের ধুম

কলকাতাঃ মহাসপ্তমীর সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে নবপত্রিকার মঙ্গল স্নান। বাঙালির শারদ উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই আচার। নবপত্রিকা স্নানের পরই দেবীর মহাস্নান। আর তারপরই দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা।ন’ ধরনের উপাচার নিয়ে তৈরি হয় এই নবপত্রিকা। রম্ভা বা কলা, কচু, হরিদ্রা বা হলুদ, জয়ন্তী, বিল্ব বা বেল, দাড়িম্ব বা ডালিম, অশোক, মানকচু, ধান দিয়ে সাজানো হয় নবপত্রিকাকে। শাস্ত্র বলে, এই নয় উদ্ভিদ আসলে উমার ন’টি রূপের প্রতীক।কলাগাছের সঙ্গে অন্য আটটি সপত্র উদ্ভিদকে ভালভাবে বেঁধে লাল পেড়ে শাড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গায়। সাদা অপরাজিতার লতা দিয়ে দেওয়া হয় বাঁধন। কলাগাছটিকে এমনভাবে লাল পাড় শাড়িতে মোড়া হয়, যেন মনে হয় কোনও নতুন বউ। তাই এই নবপত্রিকাকে অনেকে কলাবউ বলেও ডাকে। যেহেতু গণেশের ডানদিকে এই নবপত্রিকাকে স্থাপন করা হয়, তাই অনেকেই নবপত্রিকাকে গণেশের বউ বলে মনে করেন। শনিবার সকাল থেকেই ঘণ্টা, শঙ্খ, কাঁসর, উলুধ্বনিতে মুখরিত গঙ্গার ধার।