কলকাতা

নাকতলা থেকে সুরুচি, পুজো মাতাতে শহরে ঢাকিরা

কলকাতাঃ মাঠে কাশফুল, আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর শিউলির গন্ধ জানান দিচ্ছের পুজো এসে গিয়েছে। আজ মহাচতুর্থী। সকাল হতেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের ঢল। আর ঢাকের আওয়াজে মাতোয়ারা শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর।রুজিরুটির টানে পুজোর সময় পরিবার ছেড়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকিরা শহরে পৌঁছেছেন। এখান থেকেই তাঁরা কেউ পৌঁছে যাবেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীর একডালিয়া এভারগ্রিনে, কেউ যাবেন পুর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সংঘে, কেউ যাবেন শিক্ষমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা উদয়নে, আবার কেউ মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণীতে।তবে সবাই  যে তাঁদের পরিবার ছেড়ে এসেছেন এমন নয়। অনেকে পরিবার নিয়েও শহরে চলে এসেছেন আগামী এক সপ্তাহের জন্য। মুর্শিদাবাদ থেকে এদিন সকালেই শিয়ালদহে এসে পৌঁছেছেন সিরাজুল ইসলাম। সঙ্গে দুই ছেলে। বড় ছেলেও ঢাকি। তবে ছোটটা এখনও ঢাক বাজাতে পারে না। দলের সঙ্গে সে কাঁসর বাজায়। বাড়িতে স্ত্রী একাই রয়ে গিয়েছেন। সিরাজুল বলেন, “পুজোর সময় স্ত্রীকে বাড়িতে একা রেখে আসতে মন চায় না। কিন্তু কিছু করার নেই। দলে মহিলা থাকলে একরকম। নয়তো থাকার জায়গার অসুবিধা হয়। আর আমরা তো না এলেও নয়। সারাবছর তো এই মরশুমের দিকে তাকিয়ে বসে থাকি।”একই সুর সোমনাথ সরখেলের গলায়। সবে মাত্র বছর দুয়েক হল তাঁর বিয়ে হয়েছে। পুজোর সময় বাড়িতে স্ত্রীকে রেখে কলকাতায় চলে এসেছেন। মন ভাল নেই তাই। তবুই একটাই আশা, পুজো শেষে বাড়ি ফিরে ভাল কিছু একটা স্ত্রীকে কিনে দেবেন। আর স্ত্রীও জানেন, সংসার চালাতে এই সময়টা কতটা জরুরি শহরে আসা।পুজো এসেছে। আকাশে বাতাসে খুশির আমেজ। বৃষ্টির আশঙ্কায় তৃতীয়া থেকেই মানুষ ঠাকুর দেখতে রাস্তায় নেমে পড়েছে। আজ চতুর্থী। সকাল থেকেই মহানগরের রাস্তায় মানুষের চল। আর তা যে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনজোয়ারে পরিণত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।