কলকাতা

নারদকাণ্ড: এসএমএইচ মির্জাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

কলকাতাঃ ভিডিয়োতে দেখা না গেলে প্রমাণ হচ্ছে না যে মুকুল রায় টাকা নেননি। তদন্তের পরেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের টাকা না নেওয়ার সাফাই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য আইপিএস এসএমএইচ মির্জার। তাঁর দাবি, পুরো ঘটনার পুর্ণনির্মান করা হয়েছে। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের পরে আসল সত্য প্রমাণিত হবে।সোমবার আইপিএস মির্জাকে দ্বিতীয়বারের জন্য আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন অর্থা‍ৎ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে পেশের আগেই সিবিআই আইনজীবীদের তরফে জানা গিয়েছিল, মির্জা প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করাটাই সুবিধাজনক হবে। যদিও প্রভাবশালী তকমা উড়িয়ে আদালতে জামিনের আবেদন জানান মির্জার আইনজীবী। সেই মামলা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে মির্জা বলেন, “গত সাড়ে তিন বছর ধরে মনের মধ্যে মহু জিনিস চেপে রেখেছিলাম। এই কয়েকদিনে সব বলেছি। অনেকটা হাল্কা লাগছে।”প্রসঙ্গত, রবিবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে যায় সিবিআই।  ছিলেন সিআরপির জওয়ানরাও। তখন বাড়িতেই ছিলেন মুকুল। তিনি নিজে এই বাড়িতে এসেই মুকুলকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন মির্জা। সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়। যদিও মুকুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’’