ছটপুজোর সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রবীন্দ্র সরোবর চত্বর। একদল যুবকের নেতৃত্বে ভেঙে ফেলা হল সরোবরের গেট। সকাল ৭টা নাগাদ সরোবরের তিন নম্বর গেটের তালা ভেঙে বেশ কিছু মানুষ প্রবেশ করে। সরোবরের মধ্যেই তারা ছট পুজো করতে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় কেএমডিএ-এর নিষেধাজ্ঞার নোটিস ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। তারপর ওই জলেই শুরু হল পুজোর প্রস্তুতি। এরপর বহু মহিলা পুজোর সামগ্রী নিয়ে চলে আসেন সেখানে।বিক্ষোভ ধীরে ধীরে বড় আকার নিলেও বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত সেখানে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিস পৌঁছয়। পুলিস অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবেশ দূষণ রোধের উদ্দেশ্যে কোনও মতেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিবেশ আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আগেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধের সুপারিশ করেছিল। তা সত্ত্বেও গত দুই বছর অবাধে ছট পুজো হয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর। আর তার ফলে হয়েছে দূষণও। এবছর আদালতের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সরোবরে সম্পূর্ণরূপে ছট পুজো বন্ধের পথে হেঁটেছে কেএমডিএ। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সরোবরের গেটে। বিকল্প হিসাবে শহরের ১০টি পুকুরে ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। শহর খুঁজে ১০টি পুকুরকে চিহ্নিত করেছে কেএমডিএ। নোনাডাঙা ৩ নম্বর ঘাট, জোধপুর পার্ক জলাশয়, রামধন পার্ক, গোবিন্দন কুট্টি, মাদুরতলা ঝিল, নববৃন্দাবন ঝিল, ১০ নম্বর পুকুর, লালকা পুকুর, কাটজু নগর পুকুর ও রুবি হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী জলাশয়কে ছট পুজোর আচার পালনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ছট পুজোর জন্য এই পুকুরগুলিতে কেএমডিএ-র তরফে আলো, শৌচালয় ও জামাকাপড় বদলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহল করতে ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।