জেলা

পণের দাবিতে বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন, আটক শাশুড়ি

ডায়মন্ড হারবার: দাবিমতো টাকা দিতে না পারায় বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার বাহাদুরপুর গ্রামের বাগপাড়ায়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মৃতার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক স্বামী ও শ্বশুর।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে বজবজের মৌখালির নস্করপাড়ার বাসিন্দা মৌমিতা নস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় বিষ্ণুপুরের বাহাদুরপুরের বাগপাড়ার দেবাশিস বাগের। বিয়ের পর স্বাভাবিক ছন্দেই কাটছিল সংসার জীবন। একটি কন্যাসন্তানও হয় তাঁদের। মৌমিতার আত্মীয়দের অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই স্বামী দেবাশিস ও শ্বশুর-শাশুড়ি বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য মৌমিতার উপর চাপ দিতে শুরু করে। তাঁদের বেশ কয়েকবার টাকা এনেও দেন মৌমিতা। কিন্তু দিন দিন চাহিদা বাড়তেই থাকে বাগ পরিবারের। কিন্তু দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় শুরু হয় অত্যাচার। একাধিকবার টাকার দাবিতে মারধরও করা হয় মৌমিতাকে। এরপর মঙ্গলবার রাতে মৌমিতার বাপেরবাড়িতে খবর যায় যে ওই বধূ আত্মহত্যা করেছেন, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মৌমিতাকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মৌমিতাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বাপের বাড়ির সদস্যরা। ইতিমধ্যেই নিহত মৌমিতার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে মৌমিতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম ছাড়েন মৃতার স্বামী ও শ্বশুর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এলাকার বাসিন্দা ও মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।