মালদা

পিতৃপক্ষ শেষ, দেবীপক্ষ শুরু, মাথায় বৃষ্টি নিয়ে শহরের একাধিক ঘাট পরিদর্শনে নিহার রঞ্জন ঘোষ

হক জাফর ইমাম, মালদা: পিতৃপক্ষ শেষ, দেবীপক্ষ শুরু, মহানন্দা নদীতে তর্পণ করতে আসা মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা ভেবে মাথায় বৃষ্টি নিয়ে শহরের একাধিক ঘাট পরিদর্শন করলেন মালদা ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার পৌর প্রধান নিহার রঞ্জন ঘোষ।আজ মহালয়া। মহালয়া মানেই মহাপুজোয় মনের ঢাকে কাঠি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের আনন্দের জোয়ারে গা ভাসানো। শুভ মহালয়া থেকে শুরু দেবীপক্ষের, পিতৃপক্ষ শেষ। এদিন তাই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ভিড় জমে যায় ঘাটে ঘাটে। মালদা শহরের মহানন্দা নদীর প্রত্যেকটি ঘাটে এদিন থিকথিকে ভিড় ছিল। তর্পণের উদ্দেশে মহানন্দার পাড়ে ভিড় জমায় অগনিত মানুষ। ইহ জগত ছেড়ে চলে যাওয়া পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন তাঁরা। এদিন তিলজল দান করে থাকেন বংশধরেরা। তর্পণের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় চিরতরে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের শাস্ত্রমতে, দেবীপক্ষের আগে কৃষ্ণা প্রতিপদে মর্ত্যধামে নেমে আসেন পিতৃপুরুষরা৷ তাঁরা উত্তরসূরিদের কাছ থেকে জল পাওয়ার অপেক্ষা করেন। মহালয়ার দিন অমাবস্যায় তাঁদের উদ্দেশ্যে জলদানই হল তর্পণ৷ তাই এদিন ভোর থেকেই মালদা শহরে মহানন্দা নদীর রামকৃষ্ণ মিশন ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা৷ পুণ্যলাভের আশা নিয়ে তাঁরা জলদান করে উত্তরসূরিদের তৃপ্ত করে। এই দিন ইংরেজবাজার পৌরসভার পৌর প্রধান নিহার রঞ্জন ঘোষ জানান আজ মহালয়া পিতৃপক্ষ শেষ দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে। শহরের মহানন্দা ঘাট গুলিতে তর্পণ করতে আসা অসংখ্য পূণ্যার্থীদের যেন কোন অসুবিধা না হয়। তার জন্য মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভা পক্ষ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু মহানন্দা নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। ঘাট গুলির অবস্থা খুব খারাপ।