এক জনের বয়স ৭৫। অন্য জনের বয়স প্রায় ৫০। বয়সের বিশাল ফারাক থাকলেও বিশিষ্ট অভিনেতা দীপঙ্কর দে ও অভিনেত্রী দোলন রায়ের ভালোবাসা ছিল অটুট। কলকাতা চলচ্চিত্র জগতে যা বিরল ব্যাপার। বহু বছর একসঙ্গে থাকার পর বৃহস্পতিবার সাতপাকে বাঁধা পড়েন দুই তারকা। হাইল্যান্ড পার্কের কাছে একটি রেস্তোরাঁয় বসেছিল ঘরোয়া বিয়ের আসর। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে সম্পাদিত হয়। হয় মালাবদলও। লাল বেনারসী ও মাথায় লাল ফুল দিয়ে নববধূর বেশে সেজেছিলেন দোলন। দীপঙ্করকেও দেখা গিয়েছিল সাবেকি বাঙালি বরের বেশে। সাদা পাঞ্জাবি ও ধুতি পরে বিয়ে করলেন ৭৫ বছরের ‘তরুণ’। খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজনই আমন্ত্রিত ছিলেন সেই বিয়েতে। ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ মানুষ এই বিয়ের কথা জানতেনই না। হাজির ছিলেন নাট্যকার ও অভিনেতা ব্রাত্য বসু, সৌমিত্র মিত্র, ধ্রুব কুণ্ডু, শীর্ষ সেন ও লেখক-সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দোলনের ভাই দুর্গাশিস রায়৷দীর্ঘদিন লিভ-ইন রিলেশনে থাকার পর গতকাল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়। কিন্তু বিয়ের সানাইয়ের সুরের রেশ কাটতে না কাটতেই, বিষাদের সুর নেমে এল এই নব-দম্পতির জীবনে। গুরুত্বরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন দীপঙ্কর দে। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। স্বভাবতই দুশ্চিন্তার ভাঁজ দীপঙ্কর আর দোলনের ঘনিষ্ঠমহল। দীপঙ্কর দে’র পরিবারসূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি’র সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরের দিকেই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথমে অন্য একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলেও পরে পারিবারিক ডাক্তার অংশুমান মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে আমরি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দোলন রায়ের কথায়, এখনও সমস্যা হচ্ছে। এখন তেমন কথাও বলছেন না দীপঙ্কর দে। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখছেন।