জেলা

মহানবমীর সকালে রায়গঞ্জে বৃষ্টিতে নাজেহাল দর্শনার্থীরা

রায়গঞ্জ: ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পুজোর এই তিনদিনে রোদ ঝলমলে আকাশ থাকলেও নববীর দুপুরে আচমকাই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় বৃষ্টি। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরে বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হয় পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের।পঞ্চমী থেকে অষ্টমী মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ঘুরে অনেকেই প্রতিমা দর্শন করে নিয়েছেন। তবে নবমীর দিনটিকে যারা পুজো দেখা জন্য বেছে নিয়েছিলেন তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ালো আচমকা এই প্রবল বৃষ্টি।নবমীতে সারাদিনে বৃষ্টি না বন্ধ হয় তবে অনেকেরই পুজো দেখা পন্ড হবে বলে আশঙ্কা। কেননা আজই তো পুজোর শেষদিন। কাল যে মায়ের বিসর্জন।সপ্তমীর দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দেখা যায় উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই। হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, আরও একটি ঘূণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। যার জেরে নবমী ও দশমীতে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে পারে।তবে সোমবার স্বস্তির খবর শোনায় আবহাওয়া দফতর। নবমী এবং দশমীতে কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে দেয় হাওয়া অফিস। তবে এই দু’দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এরপরই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরে বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হয় পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশার উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে সেই ঘূর্ণাবর্ত পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। এদের প্রভাবে নবমী-দশমী দু’দিনই মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, দুই বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এছাড়া দার্জিলিং-এও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।তৃতীয়া-চতুর্থী থেকেই পুজো উপলক্ষ্যে নজরে পড়েছে মানুষের ঢল। চতুর্থীর দিন রোদ-ঝলমলে আকাশ থাকলেও পঞ্চমীর দিন ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। প্রবল মেঘের গর্জন আর তারপর ভোর থেকে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি! ষষ্ঠীর দিন তেমনভাবে বৃষ্টি না হলেও সকাল থেকে হালকা মেঘের দেখা মিলেছিল আকাশে।ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করতে হলেও রাত পর্যন্ত মহানগরীতে বৃষ্টি হয়নি। ফলে ষষ্ঠীর আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছিলেন মানুষজন। সপ্তমী থেকে শুরু হয় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের মতে, যা অব্যাহত থাকবে নবমী-দশমীতেও।