হক জাফর ইমাম, মালদা: ফের অভিযোগ। আবারও কাঠগড়ায় মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডুর নির্দেশমতো দোকান ভেঙে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে ১১ জন ব্যবসায়ী। ঝড়-বৃষ্টি রোদ উপেক্ষা করে কয়েক বছর ধরে মালদা শহরের সংখ্যা লঘু ভবনের নীচে ব্যবসা করে আসছেন এই ১১ জন ব্যবসায়ী। তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এবারে আন্দোলনে নামল মালদা খাসমহল স্টল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সে। অভিযোগ পত্রে অভিযোগ করা হয় ২০১২ সালে মালদা খাস মহল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীদের নিয়ে মালদা ওল্ড সার্কিট হাউসে মিটিং করেন জয়ন্ত কুন্ডু ও দেবব্রত বসুরা। সেই মিটিং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের দোকান ঘর গুলি ভাঙ্গা হয়। জয়ন্ত বাবু কথা দিয়েছিলেন যে পরিমাণ দোকানের জায়গা ছিল সেই পরিমাণ তাদের দোকান দেওয়া হবে সামনের দিকে মুখ করে। কিন্তু কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সামনের দিকে দোকান দেওয়া হয় আথচ ১১ জন ব্যবসায়ীকে পূর্বের পজিশনচু্ত করা হয়। এরপর থেকে প্রায় ছয় বছর হয়ে গেলেও জয়ন্ত কুন্ডু মহাশয় তাদের অনুরোধ কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মালদা খাসমহল স্টল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বরুন ময় দাস জানান, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স এর
সম্পাদক জয়ন্ত বাবুর কথা মতো তারা দোকান ঘর গুলো ভেঙ্গে ছিলেন। তাদের বলা হয়েছিল যার যেখানে পজিশন সেইমতো পূর্বের ন্যায় সামনে মুখ রেখে দোকান নির্মাণ করে তাদের হস্তান্তর করা হবে। কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সামনের দিকে দেওয়া হয়। কিন্তু বাকি ১১ জন ব্যবসায়ীকে ভেতরের দিকে অন্ধকারে মুখ করিয়া ঘরগুলি দেয়। যে ঘরগুলি গোডাউনের অযোগ্য। কোন ক্রেতা ভয়েতে যেতে চাই না। এই কথা বারবার মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু কে জানানো সত্ত্বেও তিনি কোন কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। ১১ জন ব্যবসায়ীকে মাঝখান দিয়ে ঢোকার রাস্তা তৈরি করে না দিলে এবং এগ্রিমেন্ট প্রত্যেক দোকানদারকে হস্তান্তর না করে দিলে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুমকি দেন সম্পাদক বরুন ময় দাস। অন্যদিকে ব্যবসায়ী সুরজিৎ দে, কামনাময় দাস, গোপাল দে এদের কন্ঠেও একই অভিযোগ। দোকান থাকা সত্ত্বেও তারা ফুটপাতে দোকানদারি করছেন। জয়ন্ত কুন্ডুর কথামতো দোকান ভেঙ্গে আজ তারা পথে বসেছেন। তাদের কথা দেওয়া হয়েছিল যে জায়গায় তাদের দোকান ছিল সেই জায়গায় দোকান ঘর দেওয়া হবে। অথচ ১১ জন ব্যবসায়ীকে অন্ধকারে পেছনের দিকে ঘর দেওয়া হয়েছে। মালদার মানুষ জানেনই না ঐদিকে মার্কেট আছে। তারা আশঙ্কায় আছে তাদের ২১ জনের এগ্রিমেন্ট না পাওয়ার জন্য। এই নিয়ে আবারো জেলা ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জয়ন্ত কুন্ডু মুখে কুলুপ এঁটেছেন।