বিদেশ

মুজফফরবাদে স্বাধীনতাকামী প্রতিবাদীদের উপর পাক পুলিশের লাঠিচার্জ, মৃত ২

মুজফফরবাদ: ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে মানবতা হরণের অভিযোগ তুলে গরম গরম বক্তৃতা দেয় পাকিস্তান৷ কিন্তু তারাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরবাদে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত প্রতিবাদীদের উপর অত্যাচারের সময় ভুলে যায় মানবতার বুলি৷ পাক পুলিশ এবং সেনার বিরুদ্ধে বহুবার এমন অভিযোগ তোলেন বালোচের স্বাধীনতাকামী প্রতিবাদীরা৷ মঙ্গলবার ফের পাক পুলিশ ও সেনার নৃশংসতার পরিচয় পেল তাঁরা৷স্বাধীনতার দাবিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মাঝেমধ্যেই ওঠে আওয়াজ৷ মঙ্গলবার সেখানকার রাজধানী মুজফফরবাদে স্বাধীনতার সমর্থনে বিশেষ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়৷ মঙ্গলবার সেই মিছিলে পাক পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে৷ এতে দুই আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়৷ জখম হন অন্ততপক্ষে ৮০৷উল্লেখ্য, জম্মু কাশ্মীরের দখল নিতে ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পাক সেনা গিলগিট বালতিস্তানে ঢুকে পড়ে৷ সেই কারণে এই দিনটি সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে ‘কালা দিবস’৷ এদিন ৭২ তম কালা দিবস পালনের ডাক দেয় অল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি অ্যালায়েন্স (এআইপিএ)৷ এই অ্যালায়েন্সের অধীনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে৷বহু মানুষ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে৷ শুরু হয় প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল৷ অচিরেই বদলে যায় পরিস্থিতি৷ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ শুরু হয় লাঠিচার্জ৷ পুলিশের লাঠিচার্জে দুই আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়৷ ৮০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হন৷ এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাদের প্রতিবাদ মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল৷কিন্তু পাক পুলিশই আগ্রাসী মনোভাব দেখায়৷ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তাদের বেধড়র মারধর করা হয়৷ এতে কারোর মাথা ফেটে যায়৷ কেউ বুকে, পেটে গুরুতর চোট পান৷ তবে এসব দমনপীড়ন করে আন্দোলনকারীদের দমিয়ে রাখা যাবে না বলে জানান তাঁরা৷ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এতে তাঁদের আওয়াজ আরও জোরাল হয়ে উঠবে৷