দেশ

মোদি-মমতা বৈঠকে গুরুত্ব পেল রাজ্যের নাম বদলের প্রসঙ্গ

দিল্লিঃ প্রায় আড়াই বছর একান্ত বৈঠকে বসলেন মোদি ও মমতা । দেড় বছর আগে শান্তিনিকেতনে এক অনুষ্ঠানে শেষবার একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল দু’জনকে । তারপর একাধিক ইশুতে একে অপরের বিরুদ্ধে কেবলই সুর সপ্তমে তুলেছিলেন তাঁরা । মাঝে লোকসভা ভোট । আর যে ভোটকে ঘিরে সম্পর্কের চাপানউতোর তীব্র হয়েছে । মোদির একের পর এক আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছেন । এমনকী, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সময় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণও ফিরিয়েছেন মমতা । অবশেষে আজ যেন বাঁধ ভাঙল । কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা জানালেন, এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয় । তিনি বললেন, “পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল, বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের আর্থিক অগ্রগতি, কয়লা উৎপাদনে রাজ্যে অভাবনীয় উন্নতি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে ।” মমতার দাবি, প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন বাংলার নাম বদলের বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন ।পশ্চিমবঙ্গে দেউচা পাঁচামি কয়লা খনির উদ্বোধনের প্রসঙ্গটিও আজ আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে । খুব সম্ভবত পুজোর পরে উদ্বোধন হতে পারে এটির । দেউচা পাঁচামির উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান মমতা । সেই ধারা বজায় ছিল কালও । রাজনৈতিক মহলের খবর, আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাঁর হাতে উপহারও তুলে দেন মমতা । হলুদ গোলাপের বিনিময়ে একে অপরকে স্বাগত জানান তাঁরা । যে বন্ধুত্বের বাতাবরণ সাক্ষাতের প্রথম লগ্নেই দৃশ্যত হয়েছিল , বৈঠক শেষে তাই বজায় থাকল।প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বেশকিছু প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে বলেও রাজনৈতিক মহলের খবর । পাশাপাশি আজকের বৈঠকে নাগরিক পঞ্জি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন মমতা । তাঁর কথায়, “আজকের বৈঠকে শুধুই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়েছে ।” অর্থাৎ মোদি-মমতা সাক্ষাত নিয়ে বিরোধী শিবির থেকে যে প্রশ্নবাণ উড়ে আসছিল (বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল) তার উত্তর দেওয়ারও চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে আগামী কাল সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ।