রাজস্থান: রাজস্থানে ফের শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের উপর আস্থা রেখে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিএসপির ৬ জন বিধায়কই। নতুন করে ৬ বিধায়ক দলে যোগ দেওয়ায় রাজস্থান সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সম্ভবত আর কোনও প্রশ্ন রইল না। অন্যদিকে, মরুরাজ্যে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল মায়াবতীর দল। এদিকে, হরিয়ানাতেও ভোটের মুখে খানিকটা শক্তি বেড়েছে কংগ্রেসের।২০০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন ১০০ জন। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার খুব কাছে পৌঁছে গেলেও সরকারের স্থায়িত্বের জন্য বিএসপির উপর নির্ভর করতে হত কংগ্রেসকে। বিএসপির বিধায়ক ছিলেন ৬ জন। রাজেন্দ্র গুড়া, যোগেন্দ্র সিং আওয়ানা, ওয়াজিব আলি, লক্ষ্মণ সিং মীনা, সন্দীপ যাদব, এবং দীপচাঁদ খেরিয়া-এই ৬ জনই সোমবার রাজস্থানের স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তারপর কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসে যোগ প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন,”অশোক গেহলট খুব ভাল মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর মতো নেতা গোটা রাজস্থানে আর নেই। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেসই সক্ষম।” এদিকে, দলীয় বিধায়করা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ মায়াবতী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের স্বভাবটাই এমন। নিজেদের শত্রুর সঙ্গে লড়াই না করে, যাঁরা ওদের সাহায্য করে তাদেরই ক্ষতি করে। কংগ্রেসের জন্যই আম্বেদকরকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। ওরা কোনওদিন আম্বেদকরের আদর্শ মানে না।”এদিকে রাজস্থানের পাশাপাশি হরিয়ানাতেও শক্তি বেড়েছে কংগ্রেসের। সোমবারই দলে যোগ দিয়েছেন চারজন বর্ষীয়ান আইএনএলডি নেতা এবং একজন নির্দল বিধায়ক। এই পাঁচ জন হলেন লোকদলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অশোক অরোরা, প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ গোয়েল, প্রাক্তন দুই বিধায়ক কলকা প্রদীপ চৌধুরি, গগনজ্যোত সিং, এবং নির্দল বিধায়ক জয় প্রকাশ। এদের যোগদান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী কুমারী শৈলজা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর সিং হুদা। এদিনের মঞ্চে হুদার উপস্থিতিও স্বস্তি দিয়েছে কংগ্রেসকে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় এদিন ইতি পড়ে গিয়েছে।