কলকাতা

রাজীবের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

কলকাতাঃ রাজীব কুমারের জামিনের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে গেল সিবিআই। শুক্রবার রাতে এই খবর প্রকাশ্যে আসে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) জমা দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি, সিবিআইয়ের তরফে ওই মামলার শুনানি দ্রুত করার আবেদন জানানো হয়েছে।তবে ঠিক কবে এই মামলার শুনানি হবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি বলেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, কলকাতা হাইকোর্ট রাজীবের জামিন নিয়ে যে রায় দিয়েছে, তাতে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেই অমান্য করা হয়েছে। সেটাই এই এসএলপি’তে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই প্রথমেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজীবের আগাম জামিনের মামলার ইতিবাচক রায় দেওয়া হয়। এই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতিরা বলেছেন, রাজীবকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি রাজীবকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিশ দেওয়া যাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আর সেক্ষেত্রে রাজীবকে সিবিআইকে সহযোগিতা করতেই হবে।যদিও এই রায়ের পর আর সিবিআইয়ের তরফ থেকে রাজীবকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যে দুর্গাপুজো থাকায় কিছুটা ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছে। দেখা হচ্ছে রাজীব জামিন পেয়ে ঠিক কী করেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই আলিপুর আদালতে গিয়ে সশরীরে জামিন নিয়েছেন রাজীব। রাজীবের এই প্রকাশ্যে আসা প্রায় এক মাস পরে। অন্যদিকে, শুধু সারদা নয় রোজভ্যালি মামলাকে সামনে খাড়া করে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনরাকে আরও প্যাঁচে ফেলতে চাইছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, তাঁরা রোজভ্যালির তদন্তে আরও জোর দিতে চান। ওই মামলাতেও ইতিমধ্যে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিস পাঠানো হয়েছে শীর্ষ এই আইপিএস কর্তাকে। সেখানেও তিনি হাজির হননি।সিবিআই আধিকারিকদের একাংশের দাবি, রোজভ্যালি তদন্তেও রাজীব কুমার তথ্য গোপন করেছেন এবং সিবিআইকে তথ্য না দিয়ে অসহযোগিতা করেছেন তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেই কারণেই রাজীবকে সিবিআই দু’বার ডেকেছিল। অথচ সারদা মামলার মতোই তিনি নোটিস পেয়েও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, অসহযোগিতার এ রকম একাধিক জোরালো প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে।তাই এবার সারদার পর গোলাপ-কাঁটাতেও রাজীবকে বিদ্ধ করতে চায় সিবিআই। এখন তারই তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর।