দেশ

রাজ্যের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে (‌অ্যামেন্ডমেন্ট)‌ বিল!‌

সোমবার লোকসভায় পেশ হয়েছে ‘‌মোটর ভেহিকলস (‌অ্যামেন্ডমেন্ট)‌ বিল।’‌গত ৫ বছরে আমার ব্যর্থতা হল সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি। এখনও এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।’‌ সংসদে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গাডকারি। বিল পেশের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিল নিয়ে লোকসভায় আলোচনা হতে পারে চলতি সপ্তাহেই। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘‌বর্তমানে যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনর্নবীকরণের জন্য একমাস সময় দেওয়া হত, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সেই মেয়াদ এক বছর করা হয়েছে। অর্থাত্‍, এক বছর রাস্তায় গাড়ি চালাবেন লাইসেন্সবিহীন চালক!‌’‌ বিল পেশ করে গাডকারি জানিয়েছেন, ‘‌ভারতে ৩০ শতাংশ ড্রাইভিং লাইসেন্স জাল। গোটা বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে অতি সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। এর ফলে ফি-‌বছর দেড় লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।’‌ আরও বলেন, ‘‌আমি নিজেই দুর্ঘটনার শিকার। পায়ে ৪-‌৫টি আঘাত রয়েছে। সবাই জানেন, আইনে আমূল পরিবর্তন দরকার। ‘‌তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’‌ব্রায়েনের কথায়, ‘‌রাজ্যের অধিকার কেড়ে নিয়ে সড়ক পরিবহণ বিলে সংশোধনী এনেছে মোদি সরকার। তৃণমূল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিজেপি নেতারা মুখে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মজবুত করার কথা বললেও, তাদের সরকার গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে।’‌ দলের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির অভিযোগ, সড়ক পরিবহণ কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ বিষয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে আইনে সংশোধনী এনে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি বিল পেশের বিরোধিতা করে বলেছেন, সড়ক পরিবহণ আইনে সংশোধনী আনার আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে শলাপরামর্শ আবশ্যিক ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘‌প্রস্তাবিত আইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ডিলারদের। এটা জনবিরোধী। এমনটা কাম্য নয়।’‌ নতুন বিলে ১৯৮৮-‌র ‘‌মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট’‌ অনুযায়ী রাজ্যের হাতে থাকা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। লাইসেন্সিং ব্যবস্থাকে সারা দেশে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রকের হাতে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধীকরণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ডিলারদের। তারাই ফি জমা করবে রাজ্যে সরকারের ঘরে।