রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের শূন্য পদের বাছাই তালিকা তৈরি করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, ফের জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই তালিকাই পাঠানো হবে রাজভবনে, আচার্যের কাছে৷ আরও একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সোমবার জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷ এই প্রক্রিয়াতে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস কখনওই সুপার নিয়োগকারী হতে পারেন না, সোমবার নিজের পর্যবেক্ষণে এমনই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া৷ এই প্রসঙ্গেই সোমবার বিচারপতি সূর্যকান্ত জানিয়েছেন, সোমবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় ললিতের৷ সেখানেই প্রাক্তন বিচারপতি উদয় ললিত জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বাছাই হয়ে গেছে৷ ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না বলে ফের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই অবস্থায় কোনওভাবেই তাঁরা উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তাঁদের আগের রায়ে হস্তক্ষেপ করবেন না, যেমন চলছে নিয়োগ পদ্ধতি তেমনি চলবে, সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ ৯ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট৷ তাৎপর্যপূর্ণ হল, এদিনের শুনানিতে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি দাবি করেন, উপাচার্য নিয়োগে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব রাখা যাবে না৷ তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে সব তথ্য জানাতে বাধ্য থাকবে রাজ্য সরকার৷ যে কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন আচার্য৷ অ্যাটর্নি জেনারেলের এই যুক্তির পাল্টা দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল-করা প্রবীণ আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত প্রশ্ন করেন, হাওয়ায় থাকা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানানো হবে কী করে? এই সময় বিচারপতি সূর্যকান্ত প্রশ্ন করেন, তালিকায় নাম থাকা একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর থাকলে কী হবে? এর প্রত্যুত্তরে রাজ্য সরকারের অপর আইনজীবী অভিষেক সিংভির দাবি, এটা দেখার জন্য বিচারপতি ললিত আছেন৷ এই ক্ষেত্রে হাইপোথেটিক্যাল বিষয় নিয়ে কোনও রায় দেওয়া হবে কেন? এই যুক্তি গ্রহণ করে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, আমরা চাই, পড়ুয়াদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হোক, কোনও বিবাদ চাই না আমরা, আবারও বলছি৷ সমস্যা হলে আমরা সমাধান করব৷