নয়াদিল্লিঃ গতকালই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে স্পষ্ট কথায় লেখা হয়েছে, গত আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ এক লাফে ৭৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তা মূলত হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋণ নিয়ে ফেরত দেওয়া হয়নি। তার পর ২৪ ঘন্টাও কাটল না, দেশের দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে চারটি ব্যাঙ্কে পরিণত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স আর ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক, এই তিনটি ব্যাঙ্ক মিশে গিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হয়ে যাচ্ছে। তা হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। সংযুক্ত ব্যাঙ্কটির ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকার। তার শাখা হবে ১১ হাজার ৪৩১টি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কর্মিসংখ্যা ৬৫ হাজার ১১৬, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্সের ২১ হাজার ৭২৯ আর ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৮০৪। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কানাড়া ব্যাঙ্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের সংযুক্তির ফলে তা হবে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। তাদের ব্যবসা দাঁড়াবে ১৫ লাখ ২৯ হাজার কোটির। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক আর কর্পোরেশন মিলে হবে দেশের পঞ্চম বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। একইভাবে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক মিলে যাচ্ছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ৮ লাখ ৮ হাজার কোটির ব্যবসা নিয়ে সেটি হবে সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। নির্মলার দাবি, এর আগে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, দেনা ব্যাঙ্ক আর বিজয়া ব্যাঙ্কের সংযুক্তির পর কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়নি। তাদের পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে। ১৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক লাভে চলছে। ব্যাঙ্কগুলির পড়ে থাকা সম্পদের পরিমাণ কমে গিয়েছে। দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ২৭ থেকে কমে হচ্ছে ১২টি।