আরজি কর আবহেই স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে শেষে ঘোষণা, ‘রোগীকল্যাণ সমিতি পুরো ভেঙে দিয়েছি। সব প্রিন্সিপালরাই এখন রোগী কল্য়াণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন। এবার তাঁদের ওখানে MSVP-র থাকবে সদস্যরা। একজন করে জুনিয়র ডাক্তার, একজন করে সিনিয়র ডাক্তার বা HOD, সিস্টারের পক্ষ থেকে একজন এবং জনপ্রতিনিধি একজন থাকবে। তাঁরাই হাসপাতালে দায়িত্ব বহন করবেন’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মেকানিজম তৈরি করতে বলেছি চিফ সেক্রেটারিকে, হেল্ফ সেক্রেটারিকে, যাতে তাঁরা কাজটা ত্বরানিত করতে পারে। একজনের উপর ছেড়ে রাখলে, তার আরও অন্যন্য কাজ আছে, সময় লাগতে পারে। অনেকটা কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, অনেকটা কাজ হয়েছে। চারিদিকে বন্যা আক্রান্ত লোকে, বন্যাত্রাণেই কাজ করতে হচ্ছে সবাইকে। পুরো প্রশাসন বন্যাত্রাণে কাজ করছে। এই দু’দিন আরও বৃষ্টি হয়েছে। কালকে ডিভিসি আরও জল ছেড়েছে। এই পরিস্থিতি, বৃষ্টি, তারপর জলের উপর জল। প্লাবনের উপর প্লাবন’।মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বাংলা ভাসছে, তারমধ্যেও BMOH,CMOH-কে বলা হল, ম্যালেরিয়ার দিকে নর্থ বেঙ্গলে নজর রাখবেন। ডেঙ্গিটা একটু কম আছে। আমরা প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছি, বায়ো মেট্রিক সিস্টেম চালু করতে। বাইরের অনেকে আছেন, নিরাপত্তার কাজ করেন বা সাফাইয়ের কাজ করেন।তাঁদের অনেকেই অজানা, তাঁদের তথ্যটা ওদের কাছে নেই। সেগুলি দেখতে বলা হয়েছে। অনেকে জায়গায় নির্মাণ কাজ হচ্ছে, সেই নির্মাণে যাঁরা বাইরে থেকে কাজ করতে আসছে। নির্মাণে কারা কাজ করছে, তাঁদের ডিটেলস রাখতে বলেছি। হস্টেলগুলিতেও দেখভাল করার জন্য বলা হয়েছে’। এর আগে, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় সুরজিত্ করপুরকায়স্তকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজি পুলিস সুরজিত্ করপুরকায়স্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত অডিট করে নেবে। আজকেই যদি নিরাপত্তা চান, আজকেই দিতে পারব না। কিন্তু যা আছে, তার থেকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আস্তে আস্তে নিরাপত্তা অডিট করে.. হাসপাতালে নিরাপত্তা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি’।