কলকাতাঃ পুজোয় বৃষ্টি হবে এমন পূর্বাভাস ছিলই। পুজো পন্ড হওয়ার আশঙ্কাও করছিলেন অনেকে৷ ফলে এবারে চতুর্থী থেকে মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। মহাষষ্ঠীর সকালে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছেও। দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা লাগোয়া কয়েকটি এলাকা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সপ্তমীর সকাল থেকেই আকাশ পরিস্কার। ফলে ভোর হতেই কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। সম্পূর্ণ হয়েছে কলাবউ স্নান। যদিও দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি নেমেছে। তবে রোদ-বৃষ্টির খেলাকে উপেক্ষা করেই সপ্তমীর সকালে মানুষের ঢল।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে কোথাও কোথাও বৃষ্টি শুরু হলেও তার জের থাকবে মহাসপ্তমীর সকাল পর্যন্ত। তবে এদিন ভোর থেকে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। হাওড়ার জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসকে শহরের বাসিন্দারা পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, বৃষ্টি হলেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’। কারণ, বৃষ্টিতে ভিজেই ঠাকুর দেখবেন সকলে। বৃষ্টি মাথায় করে নতুন জামাকাপড় পরে পুজোর দিনগুলো মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করতে প্রস্তুত তাঁরা।পুজোর মধ্যে বর্ষা। এই বছর সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে রাজস্থান থেকেই বর্ষা-বিদায় শুরু হয়নি এখনও। উত্তরপ্রদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেটি আরও পূর্বের দিকে সরে আসবে। ফলে তার টানে আরও বেশি করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। এর প্রভাবে মালদহ, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায় তুলনায় বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরেও একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। আবহবিদরা মনে করছেন, সোমবার অর্থাৎ নবমীতে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার উদয় হতে পারে। এর জেরে নবমী-দশমীতে বৃষ্টি বাড়তে পারে।