ঢাকা: আসন্ন রাষ্ট্র সাধারণ অধিবেশনে জ্বলন্ত ইস্যু হতে চলেছে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কে দ্রুত বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে পাঠানোর চেষ্টা। সম্প্রতি এই উদ্যোগ শুরু হলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে। দিন ঠিক করে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর মুহূর্তে শরণার্থীরা প্রাণের নিরাপত্তার দাবিতে মায়ানমারে ফিরতে রাজি হয়নি।বিরাট শরণার্থী চাপ আর নিতে নারাজ বাংলাদেশ সরকার। এমন অবস্থায় চিনকে পাশে নিয়েই সমাধানের পথ খুঁজছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, চলতি মাসে নিউইয়র্কে শুরু হতে যাওয়া রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় বাংলাদেশ-চিন-মায়ানমার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।২০১৭ সালের অগস্ট মাসে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়। মায়ানমার সরকারের দাবি, প্রথমে সেনা চৌকিতে হামলা করেছিল সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আরসা। সেই হামলার পরে সেনা অভিযান চালানো হয়েছে। সেনা অভিযানের পরেই উঠতে শুরু করে গণহত্যা ও গণধর্ষণের অভিযোগ।এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয়। তাদের জন্য শরণার্থী শিবির খুলেছে বাংলাদেশ।পরিস্থিতি জটিল এখানেই, চট্টগ্রামে থাকা রোহিঙ্গাদের কারণে বিরাট পরিমান জনসংখ্যা চাপ নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে অপরাধমূলক কাজ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে জঙ্গি তৎপরতা, স্থানীয় ভূ-বৈচিত্রে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব, কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ঘিরে উঠছে জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগ।