কলকাতা

শুভ্রা কুণ্ডুর ফ্ল্যাটে ইডি হানা

আজ সকালে ২৫ জন ইডি আধিকারিক ৬টি দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেয়। এর মধ্যে একটি দল পৌঁছে যায় দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি আবাসনে। সেখানেই থাকেন গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েও শুভ্রার দেখা পাননি ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়িতে থাকা পরিচারিকা জানিয়ে দিয়েছেন, শুভ্রাদেবী সপ্তাহখানেক আগে শহরের বাইরে গিয়েছেন। তবে কোথায় গিয়েছেন গৌতম-জায়া তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। গত জুন মাসে ইডি আধিকারিকরা বারাসত থেকে বেহালা পর্যন্ত রোজভ্যালির গয়নার বিপণির ১৬টি শোরুমে হানা দিয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, গয়নার বিপণি সংক্রান্ত যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে তাতে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার বেশি গরমিল রয়েছে। আর এই গয়না বিপণি দেখভাল করতেন শুভ্রা। তাই তাঁকে ডেকে জেরা করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শুধু গয়নার বিপণি নয়, বাগুইআটিতে রোজভ্যালির যে টেলিভিশন চ্যানেলের অফিস ছিল, সেখানেও শুভ্রা ছিলেন অন্যতম মাথা। চ্যানেলের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট দেখতেন তিনি। সে ব্যাপারেও তার থেকে তথ্য জানতে চায় ইডি। মন্দারমণির রোজভ্যালি রিসর্টও ছিল শুভ্রার নামে। ইডির অন্য একটি দল হানা দিয়েছে নিউ টাউনে রোজভ্যালির এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী রুপল কবিরাজের বাড়িতেও। তাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে ইডি-র কাছে। তাঁকে জেরা করেই হিসেব সংক্রান্ত ব্যাপারের উত্‍সে পৌঁছতে চাইছেন গোয়েন্দারা। কয়েকমাস আগে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে অভিনেতা প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সময়েই ডাকা হয়েছিল শুভ্রা কুণ্ডুকে। দু’বার নোটিস পাঠালেও হাজিরা দেননি শুভ্রা। ২০১৭ সালে শুভ্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে এক ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে। মনোজ কুমার নামের ওই আধিকারিককে দেখা যায় শুভ্রার সঙ্গে দিল্লির একটি হোটেলে ঢোকেন। তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তোড়জোর শুরু করে লালবাজারে। তড়িঘড়ি মনোজ কুমারকে সরিয়ে দিয়েছিল ইডি। ২০১৪ সালে একবার শুভ্রাকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছিল ইডি।