দর্শনার্থীদের সহযোগিতায় এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ৪৫০ ‘সাগরবন্ধু’ নামাচ্ছে জেলা প্রশাসন। আলিপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান জেলাশাসক পি উলগানাথন এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ। কচুবেড়িয়া থেকে চেমাগুড়ি হয়ে সাগর পয়েন্ট পর্যন্ত ভেসেল, বাস, বার্জে সর্বত্রই এই সাগর বন্ধুরা থাকবেন। কারও কোনও সমস্যা হলে, সঙ্গে সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এই সাগর বন্ধুরা। এদের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের সরাসরি যোগাযোগ থাকবে, ফলে কোনও জরুরি অবস্থায় দর্শনার্থীদের দ্রুত সবরকম সহযোগিতা করা যাবে। সম্প্রতি, গঙ্গাসাগরে এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দর্শনার্থীরা যাতে যাতায়াতের পথেই জানতে পারেন, কোথায়, কীভাবে যেতে হবে— সেই জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমকে এবার বড় আকারে তৈরি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়েছে, মুড়িগঙ্গায় থাকা ১০০টি কাঠের নৌকা, ৩২টি ভেসেল এবং দু’টি বার্জ ছাড়াও সমস্ত বাস, অটো সহ সর্বত্রই এই ব্যবস্থা ধারাবাহিকভাবে চলবে। যেহেতু গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ভক্ত সমাগত হয়, তাই শুধুমাত্র বাংলায় নয় অন্যান্য ভাষাতেও এই বার্তাগুলি বলা হবে। জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, এবছর মেলাকে সম্পূর্ণ দুর্ঘটনামুক্ত করাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য পরিবহণ দপ্তরের তিনটি বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও ছ’টি ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। এরা কচুবেড়িয়া থেকে সাগর পয়েন্ট পর্যন্ত চলাচল করা বিভিন্ন বাসের অবস্থা কীরকম রয়েছে, তা সবসময় খতিয়ে দেখবে। ইতিমধ্যে ৬০০ জন চালক এবং খালাসির বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এবার কচুবেড়িয়া থেকে সাগর পয়েন্ট পর্যন্ত ৫৫০ ছোট গাড়ি এবং ২৩৫ বাস –মিনি বাস চলবে। সেখানে চালক এবং খালাসিদের কতটা খাটতে হচ্ছে, সেবিষয়ে তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকেও এবার বিশেষ নজর রাখবে পরিবহণের বিশেষ দল। এছাড়া গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে, দ্রুত পদক্ষেপের জন্য ১০টি ব্রেক ডাউন ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় থাকবে।অন্যদিকে, এবছর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রেডক্রশ এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের সবমিলিয়ে সাত হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে এবার গঙ্গাসাগর মেলায়। অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত সব ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ১২টি ড্রোন ছাড়াও অসুস্থদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে গ্রিন করিডর ব্যবস্থাও এবার প্রথম চালু হচ্ছে বলে জেলাশাসক জানান।