দেশ

সিএএ ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থনের পুরস্কার! অবসর নিয়েই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হলেন বিপিন রাওয়াতে

কয়েক দিন কয়েক আগেই সিএএ ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থন করে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, মানুষকে হিংসাত্মক বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলে তাঁদের নেতা বলা যায় না। অবসরের দিন সেজন্য অভাবনীয় পুরস্কার কেন্দ্রের তরফে পেলেন বিদায়ী সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। এদিন থেকেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস হলেন রাওয়াত।
সেনাপ্রধান হিসেবে মঙ্গলবারই তাঁর কার্যকালের শেষদিন। পরবর্তী সেনাপ্রধান হবেন মনোজ মুকুন্দ নাভারানে।  বিপিন রাওয়াতই প্রথম দেশের সিডিএস হলেন। সিডিএস হিসেবে নিরাপত্তাজনিত যেকোনও ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে থাকবেন রাওয়াত। তাঁকেই জবাবদিহি করবে সেনার তিন বিভাগের প্রধানরা। সেনা বিষয়ক দপ্তরের প্রধান হবেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। সিডিএস হিসেবে রাওয়াতের নিয়োগের পরই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে আমেরিকা এবং মলদ্বীপ। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে টুইট করে লেখা হয়েছে, এরপর থেকে ভারত–আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টারও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদও টুইট করে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ভারত–মলদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
এবছরের ১৫ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেই মোদি সিডিএস পদের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই পদের প্রধানের অবসরের বয়স ৬৫ বছর। আগামী ২০২২ মার্চে সিডিএস পদ থেকে অবসর নেবেন বিপিন রাওয়াত। কার্যকালের শেষ দিন সেনাপ্রধান জাতীয় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তারপর তাঁকে সাউথ ব্লক থেকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। বুধবার সেনার তিন বিভাগের তরফে গার্ড অফ অনার নেওয়ার পর সিডিএস হিসেবে দায়িত্ব নেবেন রাওয়াত। তার পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, নতুন পদে যোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর তিন শাখার জন্য ‘নির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ তৈরি করবেন। তাঁর কথায়, “চিফ অব আর্মি স্টাফের অনেক দায়িত্ব আছে। এখনও পর্যন্ত আমি সেই পদে আছি। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, পালন করেছি। নতুন কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া অবধি সেই কাজ করে যাব।’ নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ সরকারের প্রতিরক্ষা ও সামরিক বিষয়ের প্রধান উপদেষ্টা হবেন৷ অর্থাৎ, জল, স্থল ও বায়ুসেনা– তিন বাহিনীর প্রধান হবেন এই ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’। নতুন এই পদটির মাধ্যমে ভারতীয় সেনার পরিচালন ব্যবস্থা আরও মসৃণ করাই লক্ষ্য। একজন ফোর স্টার অফিসারকে এই পদে বসতে পারবেন। ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী- স্থল, বায়ু ও নৌসেনার মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে অস্ত্র কেনা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ সবেতেই প্রধানের ভূমিকা পালন করেন ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’। তিনিই হবেন সেনাবাহিনী সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।