আরামবাগ: বল্গাহীন মন্তব্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কুকথার প্রতিযোগিতায় রাজ্যে দলের অনেক নেতাকেই তিনি কয়েকশো যোজন দূরে ফেলে দিয়েছেন। রবিবার ফের বেলাগাম মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এবার সুন্দরবনের বাঘকে দিয়ে পুলিশ কর্মীদের খাওয়ানোর হুংকার ছুড়েছেন তিনি। সায়ন্তনের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই রসিকতায় মেতেছেন নেটিজেনরা। সুন্দরবনের ‘বাঘ’ মামারা বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের অধীনস্ত প্রজা কিনা, অনেকে তা জানতে চেয়েছেন।ইদানিং তৃণমূল নেতাদের ছেড়ে দিয়ে পুলিশকেই নিশানা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সায়ন্তন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আরামবাগের একটি বেসরকারি হোটেলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘কিছু পুলিশকর্মী তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের সুন্দরবনে নিয়ে গিয়ে বাঘকে দিয়ে খাওয়ানো হবে।’গত সোমবারই গোপীবল্লভপুরের সভা থেকেও পুলিশকে হুমকি দিয়েছিলেন সায়ন্তন। সেদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিত রাঠোর। শিষ্টাচারের সীমারেখা ডিঙিয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সেদিন হুংকার ছুড়েছিলেন, ‘অমিত রাঠোরকে এককথায় বলতে চাই, সাপের পাঁচ পা দেখনি বাছাধন। এক বছর পর রাজ্যে বিজেপি সরকার হবে। যত কেস আমাদের বিরুদ্ধে দেবে, তার দশ গুণ বেশি কেস তোমার বিরুদ্ধে দেব।’ এখানেই কুকথায় লাগাম টানেননি একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত বঙ্গ বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বাকি পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশে হুমকি দিয়েছিলেন, ‘আমি পুলিশ অফিসারদের সতর্ক করে দিচ্ছি। তৃণমূলের কথায় এখন বেশি নৃত্য করলে, আমরা ক্ষমতায় এসে এমন নাচান নাচাব যে দুটো পা একসঙ্গে ফেলতে পারবেন না। একটা পা শূন্যে থাকবে।’