গুজরাতঃ সুরাত পৌরনিগমের ১০জন ট্রেনি মহিলা কর্মীদের প্রত্য়েককে একই ঘরে নগ্ন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সুরাতের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সুরাত মিউনিসিপ্যাল কমিশনার বাঞ্ছানিধি পানি আজই এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতালটি পরিচালনা করে সুরাত পৌরনিগমই। নিয়ম অনুযায়ী, পৌরনিগমের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ট্রেনি কর্মচারীর তিন বছর পরে স্থায়ী করা হয় । এই সময়ের মধ্যে সমস্ত ট্রেনি কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ । পৌরনিগমের কর্মচারীদের একাংশের অভিযোগ, যে সমস্ত মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা নন, তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলাকালীন হাসপাতালের মহিলা কর্মীরা তাদের বেশ কিছু কুরুচিকর প্রশ্নও করেছে বলে অভিযোগ করেন কর্মচারীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শেখ। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, শতাধিক মহিলা কর্মীকে বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্টের জন্য সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়।একজনের থেকে সে কথা জানতে পেরে এক শীর্ষ কর্মী বলেন, ‘মহিলা কর্মীদের জোর করে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করানো হয়। একটি ঘরে ১০জন করে ছিলেন। যেখানে তাঁদের গোপনীয়তা বলে কিছু ছিল না। দরজাটাও ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। বাইরের লোক যাতে ভেতরের দৃশ্য দেখতে না-পারে সে জন্য শুধু একটি পর্দা টাঙানো ছিল।’এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের বিতর্কিত ফিংগার টেস্ট দিতে হয় বলেও অভিযোগ।
প্রতীকী ছবি।