মালদা

স্বামী-স্ত্রীর শোবার ঘরে রহস্যজনক ভাবে মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

হক জাফর ইমাম, মালদা: স্বামী- স্ত্রীর শোবার ঘরে রহস্যজনক ভাবে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ,এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে মালদা বামনগোলা থানার জগদ্দলা গ্রামের দুর্গামন্দির পাড়া এলাকায় । মৃত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রী ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল । এবং স্বামীর গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় সিলিং-এ ঝুলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও গৃহবধূ পরিবারের অভিযোগ,  নিজের স্ত্রীকে সন্দেহ করেই মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে জামাই। পরে জামাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে মালদা বামনগোলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মৃত স্বামীর নাম মিঠুলাল বৈদ্য (২৮) স্ত্রীর নাম যোগিতা বৈদ্য(২০)। গত এক বছর আগে মিঠুলালের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় গুরুল্যা গ্রামের বাসিন্দা যোগিতার। মিঠুলাল পেশায় দিনমজুর ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতায় জামাই স্বর্ণ শিল্পের কাজ শেখা শুরু করেন। তার শ্বশুরের একটি স্বর্ণকারের দোকান রয়েছে বামনগোলায এলাকাতেই । ওই দম্পতির মধ্যে যে কোনো রকম গোলমাল ছিল তা পরিস্কার করে জানাতে পারি নি মৃতের পরিবার । তবে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর নাকি সন্দেহ ছিল । এনিয়ে হয়তো এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে,  গৃহবধূর মাথার পিছনে গভীর ক্ষত রয়েছে।  মৃতদেহটি ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল।  মৃতদেহের পাশ থেকে একটি হাতুড়ি উদ্ধার হয়েছে । তাতে মনে করা হচ্ছে ওই গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।  পাশাপাশি ওই ঘরের বিছানার উপর সিলিং-এর সঙ্গে গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিল স্বামীর মৃতদেহ। এমন কোনোও  ঘটনা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘটে থাকতে পারে,  যা নিয়ে স্ত্রীকে খুন করার পরে স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠান। মৃত গৃহবধূর বাবা শংকর লোহার জানিয়েছেন,  মেয়ে – জামাই খুনের ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জড়িত রয়েছে। হঠাৎ করে ওরা এরকম ভাবে মরতে যাবে কেন । মেয়েকে প্রথম থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পছন্দ করতো না । খুটিনাটি বিষয় নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিবাদ লেগেই থাকতো। ওর পরিবার সব সময় উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করতো। মেয়েকে খুন করে জামাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  এত বড় ঘটনা বাড়ির মধ্যে ঘটলো। আর পরিবারের অন্যান্যরা জানতে পারলো না,  এটা হতে পারে না। পুরো ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এদিকে মৃত মিঠুলালের এক কাকা নির্মল বৈদ্য জানিয়েছেন,  ওদের মধ্যে কোন রাগারাগি – ঝগড়া হতে দেখি নি ।  হঠাৎ করে ওদের এরকম রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হবে তা বুঝতেই পারছি না। তবে মনে করা হচ্ছে ভাইপো তার স্ত্রীকে খুন করেই পরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই । পুলিশ তদন্ত করছে।পরে হয়তো বিষয়টি জানতে পারবো। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।