আজ হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘ক্লাস বাদ দিয়ে আন্দোলন কেন? প্যারা টিচারদের সম্মান করি বলেই তৃণমূল আমলে বেতন বাড়ানো হয়েছে। তা সত্বেও কেন সব বন্ধ করে আরও চাওয়া হচ্ছে।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহের এই শাসনে পার্শ্বশিক্ষকরা খানিকটা লজ্জিত। তবে সোমবার নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘কেন্দ্র সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা দেয়নি। রাজ্য সরকার টাকা পাবে কোথা থেকে।’ কালো ব্যাচ পরে ক্লাস করানো ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি। কারণ ছাত্রদের কাছে তাতে ভুল বার্তা যায়। এখান থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এ দিন পার্ট টাইম গেস্ট লেকচারার, পার্ট টাইম টিচার, কনট্রাক্টচুয়াল কলেজ টিচারদের এক ছাতার তলায় এনে দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউজিসির যোগ্যতা থাকলে ক্যাটাগরি ওয়ানের অন্তর্ভূক্ত হবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ইউজিসির যোগ্যতা না থাকলে ক্যাটাগরি টু। ক্যাটাগরি ওয়ানের ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টেট এইডেড টিচাররা পাবেন ৩০ হাজার টাকা। ১০ বছরের কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টেট এইডেড টিচাররা পাবেন ২৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে ক্যাটাগরি টু-এর ক্ষেত্রে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টেট এইডেড টিচাররা পাবেন ২০ হাজার টাকা। ১০ বছরের কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টেট এইডেড টিচাররা পাবেন ১৫ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই যাঁদের বেতন ৩০হাজার টাকার ঊর্ধ্বে তারা বেসিক পে প্রোটেকশন দেওয়া হবে অর্থাৎ তাঁদের বেতন কমানে হবে না। অনশন আন্দোলনে বসে বিভিন্ন জেলার পার্শ্ব শিক্ষকরা দাবি করেন, পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে তাঁদের। বিকাশ ভবন থেকে তাঁরা অনশনে বসেন ব্যারাকপুরে। তারপর তাঁরা চলে যান কল্যাণীতে। কল্যাণী স্টেশন সংলগ্ন বাস টার্মিনাসে অনশনে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা।