দেশ

হোয়াটসঅ্যাপে ১২১ জন ভারতীয়ের ওপর নজরদারি

হোয়াটসঅ্যাপ ট্যাপ নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। লোকসভা ভোটের সময় সাংবাদিক, সমাজকর্মী, আইনজীবী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে ইজরায়েলি সংস্থা নজরদারি চালায়। ফাঁস করে তথ্য। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১২১ জন ভারতীয়ের ওপর যে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি চালানো হচ্ছে, বিষয়টি গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানোও হয়েছিল। শুধু সেপ্টেম্বরেই নয়, গত মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছিল। এই মুহূর্তে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ মিলিয়ন। যা গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ভারত সরকারকে বিষয়টি জানানোর পরেও কেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?‌ ভারত সরকার কি দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে?‌ প্রশ্ন বিরোধীদের। হোয়াটসঅ্যাপ সান ফ্রান্সিসকোর আদালতে মামলা ঠুকে দিতে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও বলছে, ‘‌আমরা শুধু সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থাকেই এই পেগাসাস সফ্‌টঅয়্যার দিই।’‌  কংগ্রেস নেতা এবং আইনজীবী কপিল সিবাল এদিন টুইট করেন, ‘‌ইজরায়েলি এনএসও পেগাসাস স্পাইঅয়্যার বিক্রি করে শুধু সরকারকে। হোয়াটসঅ্যাপ কোনও উত্তর দেওয়ার আগে সরকারকে বলতে হবে, কোন সরকারি বিভাগ পেগাসাস কিনেছে, কী দামে কিনেছে, কারা এই অপারেশন চালিয়েছে, কে নির্দেশ দিয়েছে এই চরবৃত্তির এবং আর কোন কোন জায়গায় এর কোপ পড়েছে।’‌ যদি ধরে নেওয়া হয়, এনএসও সত্যি বলছে না। বেসরকারি সংস্থাকেও তারা এই সফ্‌টঅয়্যার বিক্রি করে। এখন প্রশ্ন হল, ভারতে সেই ক্রেতা কে হতে পারে, যাঁরা লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করতে পারে এ ধরনের ট্যাপ করার জন্য?‌