পাকিস্তান: ৩৪৮/৮ (বাবর-৬৩, হাফিজ-৮৪)
ইংল্যান্ড: ৩৩৪/৯ (রুট-১০৭, বাটলার-১০৩)
১৪ রানে জয়ী পাকিস্তান
আজ একটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন নটিংহ্যামে হাজির দর্শকরা। শেষ ওভার পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। যে কোনও মুহূর্তে অঘটন ঘটার আশঙ্কা। আর দিনের শেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে তৃপ্তির হাসি ফুটল পাক ক্রিকেটারদের মুখে।শেষ ১১ ওয়ানডে একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। যার মধ্যে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-৪ ব্যবধানে সিরিজও হারেন সরফরাজরা। তার উপর বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পাক দল। উলটোদিকে আবার ম্যাচ শুরুর আগে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলেন, আগে ব্যাট করলে ৫০০ রানও তোলার চেষ্টা করবে তাঁর দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মর্গ্যানবাহিনীর ক্ষুরধার পারফরম্যান্স নিয়েও তো নতুন করে বলার কিছু নেই। তাছাড়া হারের জেরে পাক দলকে নিয়ে মশকরারও শেষ নেই নেটিজেনদের। এমন পরিস্থিতিতে এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভরিট সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নার্ভ শক্ত করে লড়াইয়ে নামাটা নেহাত সহজ ছিল না আমির-বাবরদের কাছে। কিন্তু ১০৫ রানে অল আউট হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি ভুলিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান, তার প্রশংসা করতেই হয়।
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান –
ইমাম ক ওকস ব মইন ৪৪ (৫৮)
ফাখার স্টাঃ বাটলার ব মইন ৩৬ (৪০)
বাবর ক ওকস ব মইন ৬৩ (৬৬)
হাফিজ ক ওকস ব উড ৮৪ (৬২)
সরফরাজ ক ও ব ওকস ৫৫ (৪৪)
আসিফ ক বেয়ারস্টো ব উড ১৪ (১১)
শোয়েব ক মর্গান ব ওকস ৮ (৮)
ওয়াহাব ক রুট ব ওকস ৪ (২)
হাসান অপরাজিত ১০ (৫)
শাদাব অপরাজিত ১০ (৪)
অতিরিক্ত ২০
মোট (৫০ ওভারে, ৮ উইকেটে) ৩৪৮
উইকেট পতন: ১/৮২, ২/১১১, ৩/১৯৯, ৪/২৭৯, ৫/৩১১, ৬/৩১৯, ৭/৩২৫, ৮/৩৩৭।
বোলিং: ওকস ৮–১–৭১–৩, আর্চার ১০–০–৭৯–০, মইন ১০–০–৫০–৩, উড ১০–০–৫৩–২, স্টোকস ৭–০–৪৩–০, রশিদ ৫–০–৪৩–০।
ইংল্যান্ড –
রয় এলবিডব্লু ব শাদাব ৮ (৭)
বেয়ারস্টো ক সরফরাজ ব ওয়াহাব ৩২ (৩১)
রুট ক হাফিজ ব শাদাব ১০৭ (১০৪)
মর্গান ব হাফিজ ৯ (১৮)
স্টোকস ক সরফরাজ ব শোয়েব ১৩ (১৮)
বাটলার ক ওয়াহাব ব আমির ১০৩ (৭৬)
মইন ক ফাখার ব ওয়াহাব ১৯ (২০)
ওকস ক সরফরাজ ব ওয়াহাব ২১ (১৪)
আর্চার ক ওয়াহাব ব আমির ১ (২)
রশিদ অপরাজিত ৩ (৪)
উড অপরাজিত ১০ (৬)
অতিরিক্ত ৮
মোট (৫০ ওভারে, ৯ উইকেটে) ৩৩৪
উইকেট পতন: ১/১২, ২/৬০, ৩/৮৬, ৪/১১৮, ৫/২৪৮, ৬/২৮৮, ৭/৩২০, ৮/৩২০।
বোলিং: শাদাব ১০–০–৬৩–২, আমির ১০–০–৬৭–২, ওয়াহাব ১০–০–৮১–৩, হাসান ১০–০–৬৬–০, হাফিজ ৭–০–৪৩–১, শোয়েব ৩–০–১০–১।