বিদেশ

মাঝ আকাশে সিঙ্গাপুরগামী বিমানে টারবুল্যান্স, প্রবল ঝাঁকুনিতে মৃত ১, আহত ৩০

মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমান। লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী ওই বিমানটি টারবুল্যান্সের কবলে পড়ে। প্রবল ঝাঁকুনিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী। একজন যাত্রীর মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করা হয়েছে বিমানসংস্থার তরফে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিকে ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপরই বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, সোমবার লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে এসকিউ৩২১ বোয়িং বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানটিতে ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন বিমান কর্মী ছিলেন। আচমকা মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি হয়। এরপরই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ব্যাঙ্ককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও কেন বিমানটি ‘টারবুল্যান্সের’ মধ্যে পড়েছিল, তা নিয়ে বিমান সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি।

আসলে আকাশে চলাচলের সময় বিমান এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। মূলত, বায়ুপ্রবাহের চাপ এবং বিমানের গতিবেগের আকস্মিক পরিবর্তন হলে বিমানে একটি ধাক্কা লাগতে পারে। অথবা, বিমানে টানও অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়ার কারণে ঘটা সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম। আগে থেকে এমন সমস্যার কোনও আন্দাজও পাওয়া যায় না। ফলে বিমান চালকদের কাছে এ ধরনের ঘটনা বেশ অপ্রত্যাশিত। টারবুল্যান্স হল বায়ুর এক অনিয়মিত প্রবাহ যা, বাতাসের ঘূর্ণমান এবং উল্লম্ব স্রোতের মিশ্রনে হঠাৎ তৈরি হতে পারে। এর ফলে হঠাৎই বিমানে এক বা একাধিক মারাত্মক ঝাঁকুনি লাগতে পারে। আবার হাওয়ার চাপ খুব বেশি থাকলে বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতেও পারে। এমনকী বিমানের কাঠামোতে বড়সড় ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ পাতের সময়ও। আবার হাওয়ার প্রবাহ ছিন্ন হলেও এমনটা হওয়া সম্ভব। একটি বিমান যে কোনও সময় প্রায় ৭ ধরনের টারবুল্যান্সের মধ্যে পড়তে পারে। কখনও তা আবহাওয়া সংক্রান্ত সমস্যার কারণে হতে পারে। আবার কখনও বায়ু প্রবাহ বা জেট স্ট্রিম (Jet Stream)-এর কারণে হতে পারে। জেট স্ট্রিম হল বায়ুর স্রোতের এক শক্তিশালী বেড় যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কয়েক মাইল উপরে পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দু’তিনটি করে জেট স্ট্রিম থাকতে পারে। আবহাওয়া সংক্রান্ত টার্ব্যুলেন্স হলে, অর্থাৎ ঘন মেঘ বা বজ্রবিদ্যুতের মধ্যে দিয়েও বিমান উড়তে পারে।