পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়ে কপ্টার দুর্যোগে পড়ে চোট পাওয়ার পরে বুধবারই প্রথম নবান্নে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ভোট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে মোট ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে বেশিরভাগই আমাদের। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম-সহ অধিকাংশ জেলাতেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। পূর্ব বর্ধমানে একজন হৃদরোগে মারা গিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে। সব মৃত্যু দুঃখজনক। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাছাড়া একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। মানবিক কারণেই নিহতদের পাশে দাঁড়াচ্ছি আমরা।’ মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘ভাঙড়ে গত ২৫-৩০ বছর ধরেই ঝামেলা চলছে। বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে এনে ঝামেলা পাকানো হয়েছে। পুলিশের ওপরে আক্রমণ হয়েছে।’ ভোট গণনার দিন রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কেন ভাঙড় অশান্ত হল সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভাঙড়ে আরাবুল আদতে হারেনি, কিন্তু দেখানো হয়েছে আরাবুল হেরেছে। সব জেনেও তৃণমূল কিছু বলেনি।’