জেলা

তমলুকে দলের নেত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং মারধর, ধৃত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ৩ বিজেপি নেতা!

তমলুকে বিজেপি নেত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষন, মারধোর ও প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ দলেরই নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার তিন বিজেপি নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শঙ্কর জানা, স্বরূপ ভৌমিক ও সমরেশ ধাড়া। এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত দেবকমল দাস, আনন্দ নায়ক, স্মৃতি রানীপাল দাসরা। সূত্রের খবর, ধৃতদের খোঁজে দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, ঠিক তখনই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজেপির জেলা কমিটির নেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ, মারধর ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা সহ ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। যা ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য। ওই অভিযোগকারীনি তমলুক সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চার সদস্য। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও সাংগঠনিক জেলা বিজেপির বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস। শুধু তাই নয় তাঁকে মারধর সহ প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। এমনকী তাঁর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার ফোনে থাকা সমস্ত ছবি ও তথ্য ডিলিট করে দেওয়া হয়। দেবকমল ছাড়াও তমলুক নগর মণ্ডল, বিজেপির কোষাধ্যক্ষ আনন্দ নায়ক, দেবকমলের স্ত্রী স্মৃতি রানী পাল দাস সহ একাধিক বিজেপি নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে অত্যাচার ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা- হুমকি দেওয়ার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ওই বিজেপি নেত্রী। বিজেপি মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, অভিযুক্তরা সকলেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে গা ঢাকা দেন সকলেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের আজ তমলুক জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয়।