কলকাতা

টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের ৪ বিধায়ক

৪ তৃণমূল বিধায়ক টিকিট না পেয়ে আজ পদ্মশিবিরে নাম লেখালেন। এদিন হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। মমতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী সোনালী গুহ আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন । এবারের প্রার্থীতালিকায় জায়গা পাননি সোনালী। এর পাশাপাশি বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীও ।এছাড়াও বিজেপিতে যোগ দিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই বলে পরিচিত বর্ষীয়ান রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য । এবারের প্রার্থীতালিকায় রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের জায়গায় এবার প্রার্থী করা হয়েছে বেচারাম মান্নাকে । শিবপুরে এবার জোড়াফুলের প্রতীকে প্রার্থী করা হয়েছে তারকা ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে । তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বর্তমান বিধায়ক জটু লাহিড়ি । এবার তিনিও বিজেপিতে নাম লেখালেন । বসিরহাটের বিধায়ক দীপেন্দুও জায়গা পাননি এবারের প্রার্থী তালিকায় । তিনিও আজ

শুভেন্দু-দিলীপদের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন । শমীক ভট্টাচার্যকে হারিয়ে ২০১৬ সালের বিধানসভায় বসিরহাট দক্ষিণ থেকে জয় হাসিল করেন ফুটবলার দিপেন্দু বিশ্বাস। দলের অনুগত বলেই শাসক শিবিরে পরিচিত তিনি। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় তাঁর নাম বাদ পড়েছে। সেদিনই অভিমান ব্যাক্ত করেন ময়দানের তিন বড় দলের স্ট্রাইকার দিপেন্দু। এদিন বিদায়ী এই তৃণমূল বিধায়কও যোগ দিলেন বিজেপিতে। শুধুমাত্র প্রার্থীতালিকায় জায়গা না পাওয়া তৃণমূল নেতারাই নয়, টিকিট পেয়েও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে নাম লেখালেন মালদার হবিবপুরের প্রার্থী সরলা মুর্মু ।

আজ আরেক নতুন ভাঙনের সাক্ষী থাকল মালদাবাসী। বিজেপির স্রোতের ধাক্কায় এদিন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল এই জেলার জেলা পরিষদে তৃণমূলের ঘর। বিজেপিতে যোগদান করলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল। তাঁকে সামনে রেখেই গেরুয়া জার্সি গায়ে তুললেন আরও ১৩ জন সদস্য। আর এই যোগদানের পর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই জেলা পরিষদের ৩৮ জন সদস্যের মধ্যে আগেই তাঁদের ৯ জন সদস্য ছিলেন। সোমবার এই ১৪ জন সদস্যের যোগদানের পর এই সংখ্যাটা হল ২৩। শুভেন্দুর দাবি, এঁরা সকলেই পঞ্চায়েত আইন মেনেই যোগদান করেছেন। ফলে জেলা পরিষদ এখন কার্যত বিজেপির।