বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস। ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির থেকে পাঁচ লক্ষের বেশি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুই মহিলা সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কল সেন্টার চালিয়ে এই প্রতারণার কারবার করত বলে পুলিস জানতে পেরেছে। ধৃতদের শনিবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পলাশ জানা নামে এক ব্যক্তির কাছে গত মাসে একটি ফোন আসে। তাঁর ঋণ লাগবে কি না, জানতে চাওয়া হয়। সম্মতি দেন পলাশবাবু। তখন ফোনের ওপার থেকে বলা হয় ৩৭ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর নানা নথি, তথ্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে ফোন করে প্রতারকরা। তার জন্য টাকা জমা দিতে বলে তারা। বেশ কয়েক ধাপে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা বেরিয়ে যায় পলাশবাবুর। পরে তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারপরই ১৬ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে ফোন করে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল যে ফোন নম্বরগুলি থেকে, তার সূত্র ধরে শেষমেশ শুক্রবার রাতে নাগেরবাজার এলাকা থেকে পাঁচজনকে ধরে পুলিস। ধৃতরা হল- শুভদীপ কুণ্ডু, তমাল চক্রবর্তী, কল্লোল আইচ, নাজিয়া ফিরদৌস এবং লিজাকুমারী দাস। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রতারিতদের টাকা ফেরনো যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।