কলকাতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত ‘বাংলা’কে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিল কেন্দ্রীয় সরকার

পুজোর আগেই সুখবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত ‘বাংলা’কে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে দেশের আরও পাঁচটি ভাষাকে ‘ধ্রুপদী’ ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে বাংলা, তেমনই রয়েছে মরাঠি। এছাড়াও পালি, প্রাকৃত এবং অসমিয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সত্যিই আজ বাঙালি আর বাংলার গর্বের দিন।কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানার পরেই নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে এক পোস্টে খুশি জাহির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি বেঙ্গলি বা বাংলা ভাষাকে ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দিয়েছে ভারত সরকার। বাংলা অন্যতম প্রাচীন ভাষা। আমাদের কাছে নথিও রয়েছে। তাই তথ্য দিয়েই আমরা আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। নিজের দাবির সপক্ষে নথিও জমা দিয়েছিলাম। অবশেষে কেন্দ্র দাবি মানতে বাধ্য হল।’ বর্তমানে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বাধিক প্রচলিত কথ্য ভাষা হচ্ছে বাংলা। এপার বাংলা-ওপার বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ২০ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলেন। দীর্ঘদিন ধরেই যাতে বাংলা ভাষা ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা পায় তার জন্য সচেষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসাবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানিয়েছিলেন, ‘বাংলা ভাষা সুপ্রাচীন। গত আড়াই হাজার বছর ধরে এই ভাষার বিবর্তন ঘটেছে। তাই বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এদিন বাংলা, মরাঠি-সহ পাঁচ ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ায় বর্তমানে ধ্রুপদী ভাষার সংখ্যা দাঁড়াল ১১। আগে তালিকায় ছিল তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম এবং ওড়িয়া। ২০০৪ সালে সর্বশেষ তামিল ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।