চলতি বিতর্ক আর প্রতিবাদে কিছুমাত্র কান না দিয়ে তিন জেলায় ৫১১টি সরকারি বিদ্যালয় উঠিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করল ত্রিপুরার বিজেপি জোট সরকার। বলা হয়েছে এইসব বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কম। এর মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় রয়েছে ১৬০টি বিদ্যালয়, দক্ষিণ জেলার ১৬৮টি এবং ১৮৩টি বিদ্যালয় রয়েছে উত্তর ত্রিপুরা জেলায়। প্রাইমারি, সিনিয়র বেসিক, হাই এবং হায়ার সেকেন্ডারি সব ধরনের বিদ্যালয়ই এই তালিকায় রয়েছে। বাকি ৫ জেলার খবর এখনও জানা যায়নি। চলতি মাসের প্রথমদিকে সরকারি এই উদ্যোগের কথা আংশিক জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছিল। কিন্তু সরকার তথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা-র হাতে থাকা শিক্ষা দপ্তর এতে কান দেয়নি। ২০১৮-তে বিজেপি সরকারে এসে ছাত্র সংখ্যা কম রয়েছে রাজ্যের এমন মোট ৯৬১টি বিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। সেই সঙ্গে আরও ৮০০ সরকারি বিদ্যালয়কে বেসরকারি হাতে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। এপর্যন্ত মোট কত বিদ্যালয় বন্ধ হয়েছে এবং কটিকে বেসরকারি হাতে দেওয়া হয়েছে তার কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে গ্র্যান্ট-ইন-এইডে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি পরিচালনাধীন বেশকিছু বিদ্যালয়ও বন্ধ করার তোড়জোড় চলছে বলে খবর। আগরতলা শহরের সখীচরণ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়, স্বামী দয়ালানন্দ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় এবং শংকরাচার্য দ্বাদশ শ্রেণি বালিকা বিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি বেশকিছু শিক্ষক বদলি করে সরিয়ে নেওয়ায় এই সন্দেহ তীব্র হয়েছে। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের নিয়োগ করে থাকে নিজস্ব পরিচালন কমিটি। ফলে আগে তাঁদের বদলি করা সম্ভব ছিল না। ২০২২-এ আইন সংশোধন করে বদলি শুরু হলেও এই নিয়ে বিতর্ক ও সংশয় ঘোচেনি। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে সারা রাজ্যে সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুতর সংকট চলছে বলে প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমে খবর হচ্ছে।