পুজোর আগে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হলেও, আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফলে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছে পুরোদমে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক ভাবে মোট ৬ জন চিকিৎসক এই অনশনে শামিল হচ্ছেন। তাঁদের দাবি পূরণ হলে তবেই অনশন ভাঙবেন বলে জানান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। প্রাথমিকভাবে যে ৬ জন ‘আমরণ অনশন’ শুরু করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৩জনই হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে আছেন। তাঁরা হলেন – স্নিগ্ধা হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং তনয়া পাঁজা। অনুষ্টুপ হলেন এন্ডোক্রনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। তনয়া ইএনটি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আছেন। আর স্নিগ্ধা হলেন ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। তাছাড়াও ‘আমরণ অনশন’ করছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলস্ত্য আচার্য, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা। পুলস্ত্য হলেন অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অর্ণব হলেন নেফ্রোলজি বিভাগের পিডিটি। আর সায়ন্তনী আছেন প্যাথোলজি বিভাগে। তিনি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তবে বিশেষ বিষয় হল, ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিস কিন্তু অনুমতি দেয়নি। অর্থাৎ বিনা অনুমতিতেই চলছে এই কর্মসূচি। গতকাল, শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচির জন্য অন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে একটি ই-মেল করা হয়েছিল। তারই জবাবে আজ শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, পুজোর মুখে এই কর্মসূচির অনুমতি দিলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে। পাশাপাশি, ধর্মতলার মতো ব্যস্ত এলাকায় এইধরনের কর্মসূচির ফলে তীব্র যানযটও সৃষ্টি হবে। ই-মেলে আরও বলা হয়েছে, বেশিরভাগ পুজো মণ্ডপগুলিতে ঠাকুর আনার কাজ চলছে। এই কর্মসূচির ফলে তা ব্যাহত হবে। শহরজুড়ে আইন শৃঙ্ঘলার ব্যাঘাত ঘটবে।