হরিদ্বার থেকে গঙ্গাজল নিয়ে এসে মন্দিরে জলাভিষেকও করিয়েছিলেন। কিন্তু মন্দির থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না ছয় কাঁওয়ার তীর্থযাত্রীর। শনিবার গভীর রাতে মেরঠের ভবনপুর রালি চৌহান গ্রামের কাছে ঝুলে থাকা ১১ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে প্রাণ হারাতে হল ওই ছয় তীর্থযাত্রীকে। নিহতদের মধ্যে দুই সহোদরও রয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন আরও দুই তীর্থযাত্রী-সহ ১৬ জন। আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেরঠ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আনন্দ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পরেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলিতির অভিযোগ এনে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামবাসী ও কাঁওয়ার যাত্রীদের শান্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মেরঠের জেলাশাসক ও স্পেশাল পুলিশ সুপার। মেরঠের জেলাশাসক দীপক মীনা জানিয়েছেন, এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হরিদ্বার থেকে জল এনে মন্দিরে জলাভিষেক করে ভবনপুরের রালি চৌহানে নিজেদের গ্রামেই ফিরছিল কাঁওয়ার তীর্থযাত্রীদের একটি দল। ওই দলের সঙ্গে থাকা একটি লরিতে বিশাল আকারের সাউন্ড বক্স ছিল। মাটি থেকে ডিজে বক্সের উচ্চতা ছিল ২২ ফুট। গ্রামের মন্দিরের কাছাকাছি হাইটেনশন তারের সঙ্গে ডিজে বক্সগুলির সংস্পর্শ হতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন লরির ওপরে থাকা কাঁওয়ার তীর্থযাত্রীরা। অনেকেই ছিটকে নিচে পড়েন। হুলুস্থুলু পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা জানান। কিন্তু অনেকক্ষণ বাদে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুতের ছোবলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ছয় কাঁওয়ার তীর্থযাত্রী। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। আশেপাশের বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ নিয়ে এসে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের জুনিয় ইঞ্জিনিয়ারকে আগেই কাঁওয়ার তীর্থযাত্রীদের ফিরে আসার কথা জানানো হয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। তা সত্বেও কেন হাইটেনশন লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।