দেশ

বিজেপি শাসিত মণিপুরে জাতি গত দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯৮ জন, আহত ৩১০, গ্রেফতার ৬৫

 মণিপুরে গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া দু্ই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৩১০ জন। হিংসায় ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে ২৭২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৫০ জন। আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে গত ৩ মে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। আর্থিক ও সামাজিকভাবে এগিয়ে থাকা মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিরোধিতায় সরব হয় কুকি-সহ একাধিক জনজাতি গোষ্ঠী। রাজধানী ইম্ফল, চূড়াচন্দ্রপুর-সহ পাঁচ জেলায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। হিংসার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় একাধিক ঘরবাড়ি-দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয় ৩৫৫ ধারা। মোতায়েন করা হয় সেনা ও আধা সেনা। কিন্তু তাতেও হিংসার আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়নি। মণিপুরে সাম্প্রতিক জাতি দাঙ্গায় প্রকৃতপক্ষে কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এতদিন স্পষ্ট করে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। ফলে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩ মে শুরু হওয়া জাতিগত দাঙ্গায় এখনও পর্যন্ত ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ৩১০ জন। মোট ৩ হাজার ৩৭৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ৮৪ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।