জলপাইগুড়িতে ঢুকে পড়া হাতি তাড়াতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা বনবিভাগের কর্মীদের। জাতীয় সড়ক বন্ধ করে হাতি শহর থেকে বের করার কাজ করা হয়। রবিবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকে পড়ে দুটি হাতি। এরপর করলা নদী পেরিয়ে তারা আশ্রয় নেয় আনন্দচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের পিছনের জঙ্গলে। এরপর জাতীয় সড়ক পার করে ডেঙ্গুয়াঝার চাবাগান দিয়ে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে হাতি দুটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। সকাল থেকে হাতি দুটিকে তাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও তাদের জঙ্গলে ফেরানো যায়নি ৷ গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ, জলপাইগুড়ি বন বিভাগ, বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগ, মহানন্দার বনকর্মীরা হাতি তাড়াতে চেষ্টা চালান। বিন্নাগুড়ি, রামশাই ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলেও হাতি দুটি তখনও আনন্দচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের পিছনের জঙ্গলেই ছিল। বার বারই বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছে হাতি দুটি। হাতি দুটিকে জলপাইগুড়ি শহর থেকে জঙ্গলে তাড়াতে ওই এলাকায় 144 ধারা জারি করা হয়েছিল। ফলে জাতীয় সড়ক-সহ হাতি থাকা এলাকায় সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাতে ফের জলপাইগুড়ির ডিএফও মৃদুল কুমার হাতি আশ্রয় নিয়ে থাকা এলাকায় আসেন। কিন্তু আটটি স্কোয়াডের বনকর্মীরা 24 ঘণ্টা হতে চললেও জলপাইগুড়ি শহর থেকে হাতি জঙ্গলে ফেরাতে পারেননি।