কলকাতা

অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড ১২ সাংসদ, ‘অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক’: তৃণমূল

বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য রাজ্যসভার অধিবেশনের বাকী দিনগুলি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১২ সাংসদকে। এদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসের ৬, শিবসেনার ২, সিপিএম ও সিপিআইয়ের একজন করে সাংসদ। এনিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দ শেখর রায়। সোমবার সংসদে সাসপেনশনের ঘোষণার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আজ আচমকাই ঘোষণা করেন, গত অধিবেশনে যারা কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরই কাউকে কোনও সুযোগ না দিয়ে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে দেন, ওইসব অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে মোশন পাস করা হবে। রাজ্যসভায় ওরা সংখ্য়াগরিষ্ঠ হওয়ায় ১২ সাংসদের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়। শাস্তি প্রাপকদের মধ্য়ে রয়েছেন দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী। আমাদের দাবি হল, যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ যদি থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। গণতন্ত্রে বিরোধিতা করার অধিকার রয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি তার রিপোর্ট দিয়েছে। জানি না ওই রিপোর্টে কী রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সুয়োগ দেওয়া হয়নি। কোনও শুনানি হয়নি। আমাদের মনে হয় যারা এই শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন তাদের ভারতীয় সংবিধান সম্পর্কে কোনও শ্রদ্ধা নেই। তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, সাসপেন্ডের নামে যা করা হয়েছে তা একেবারেই বেআইনি ও অগণতান্ত্রিক। আমাদের বিরুদ্ধে সংসদ অচল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যারা এতদিন সংসদ অচল করে এসেছে তারা এখন এনিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজরা যখন রাজ্যসভায় ছিলেন তখন তাঁরা সংসদ অচল করা নিয়ে কী বলেছিলেন? ইউপিএ জমানায় একের পর এক অধিবেশন বিজেপি সাংসদদের বাধায় বাতিল হয়ে গিয়েছে। সুষমা স্বারাজ একসময় লোকসভায় বলেছিলেন, সংসদের অধিবেশন অচল করে দেওয়াও গণতন্ত্রের একটি অংশ।