উত্তপ্ত কাঁথি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মারার অভিযোগ। জানা গেছে, অধিকারীদের সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ ও তা ঘিরে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অভিযোগ উঠেছে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী তাঁর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে মারধর করিয়েছেন তৃণমূলকর্মীদের। আর তা ঘিরেই এই সংঘর্ষের পরিস্থিতি। এই ঘটনার জেরে এখন রীতিমত সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার জেরে অস্বস্তি ছড়িয়েছে বিজেপির অন্দরেও। বঙ্গ বিজেপির বেশ কিছু নেতাই জানিয়েছেন, বড়দিনের আবহে সামান্য ঘটনাকে সংঘর্ষের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার এই পদক্ষেপ রীতিমত ভুল সিদ্ধান্ত অধিকারীদের। ঘটনার জেরে সরব হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শুক্রবার রাতে কাঁথির জুনপুট মোড় সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক বসেছিলেন। সেই সময় কয়েক জন বিজেপি কর্মী ওই এলাকায় পৌঁছলে দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। সেই সময় দিব্যেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গাড়ি থেকে নেমে বিনা কারনেই তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। তার জেরে ১২জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরি জানিয়েছেন, ‘এলাকার কয়েক জন যুবকের ঝামেলার মধ্যে আচমকা ঢুকে পড়েন সাংসদ দিব্যেন্দু। প্রথমে তাঁর বড়দা কৃষ্ণেন্দু অধিকারী গিয়ে মিটমাট করে দেন। এর পর সাংসদ দিব্যেন্দু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে এসে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। মারধর করা হয়েছে আমাদের কর্মীদের। এ ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথেচ্ছ ব্যবহার লজ্জাজনক। এ নিয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।’ সেই ঘটনার রেশ পড়ে বড়দিনের সকালেও। এদিন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে বিজেপি ‘সুশাসন দিবস’ পালন করছে দেশ জুড়ে। সেই উপলক্ষ্যে এদিন কাঁথির ডরমেটরি মাঠেও সভা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভার জন্য শহরের বেশ কিছু এলাকায় দেওয়া হয়েছিল পোস্টার, ব্যানার ও ফ্লেক্স। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে গতকালের ঘটনার পরেই তৃণমূলকর্মী ও সমর্থকেরা সেই সব পোস্টার, ব্যানার ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিয়েছে। শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে দিব্যেন্দুর অবশ্য বক্তব্য, ‘কোথাও কিছুই ঘটেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ব্যবহার করা হয়নি।তৃণমূলকর্মীদের মার দিয়ে আদতে অধিকারীরা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে যাতে মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিতে বাধ্য হয়।