হাওড়া বাদে রাজ্যের বাকি চার পুরনিগমে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, চন্দননগর এবং আসানসোল পুরনিগমে ভোট গ্রহণ হবে৷ ভোট গণনা হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি৷ আগামিকাল ভোট প্রক্রিয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ তবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুর এলাকাগুলিতে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গেল৷ তবে হাওড়ায় পুরভোট কবে হবে, সে বিষয়ে এ দিনও কিছু জানাননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার৷ তবে এই সর্বদল বৈঠক বয়কট করে বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল । তবে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি জানায় যে, তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছিল ৷ যদিও বিজেপির তরফে অংশ নেওয়া অর্জুন সিং ও শিশির বাজোরিয়া মাঝপথে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানান ৷ অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল জানায়, তারাও বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেছে। এ দিন পুরভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন৷ যদিও সেই বৈঠক ছেড়ে মাঝপথেই বেরিয়ে যায় বিজেপি সহ বাম, কংগ্রেস৷ তা সত্ত্বেও অবশ্য ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আসেনি নির্বাচন কমিশন৷ তবে হাওড়ায় পুরভোট কবে হবে তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার৷ তিনি জানিয়েছেন, হাওড়ায় পুরভোট নিয়ে রাজ্যের তরফে তাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি৷ হাওড়ায় কেন ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মূলত আপত্তি জানিয়ে সর্বদল বৈঠক বয়কট করে বিরোধীরা৷ পাশাপাশি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট নিয়েও আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের৷ নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, আগামী ৩ জানুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে৷ আদালতের নির্দেশ মেনে সমস্ত বুথেই থাকবে সিসিটিভি৷ সৌরভ দাস জানিয়েছেন, আগামী ৪ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ বৈঠক করবে কমিশন৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে কি না, সেই বৈঠকেই তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ বিজেপি সহ বিরোধীদের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন পাঁচটি পুরনিগমে ভোট গ্রহণের কথা জানিয়েছিল কমিশন৷ কিন্তু এ দিন সর্বদলীয় বৈঠকে চারটি পুরনিগমে ভোটের কথা বলছে তারা৷ পাশাপাশি, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সংশোধিত ভোটার তালিকা ধরে ভোট হবে৷ বিরোধীদের দাবি, ১ জানুয়ারি ২০২২-এর ভোটার তালিকাকে ধরেই ভোট করাতে হবে৷ এদিন সিপিএম নেতা রবীন দেব প্রশ্ন তোলেন, আগামাী ৩ তারিখ পর্যন্ত আদালত বন্ধ রয়েছে৷ ফলে মনোনয়ন জমা দেওয়া সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলেও বিরোধী দলের প্রার্থীরা আদালতের সাহায্য নিতে পারবে না বলে অভিযোগ সিপিএম নেতার৷ সমস্যা হবে হলফনামা দেওয়া নিয়েও৷ তাছাড়াও নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ২২ জানুয়ারি ভোটের পর ২৩ জানুয়ারি ছুটির দিনে স্ক্ুটিনি হওয়া নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বামেরা৷