রাজ্যের আরও চার পুরনিগমে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন। এবার ভোট হবে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোলে। ৪ পুরসভার ২২৭ আসনে কারা প্রার্থী হবেন? এদিন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত হয় প্রার্থীতালিকা। তবে মৌখিক ঘোষণা নয়, প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হল দলের ওয়েবসাইটে। ল্লেখযোগ্যভাবে এদিন বিধাননগরের পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে সব্যসাচী দত্তের। এদিন জানা গিয়েছে, এবার তৃণমূলের টিকিটে বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন সব্যসাচী। এদিকে সব্যসাচীর একসময়ের ডেপুটি তথা বিধাননগরের বিদায়ী পুর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী লড়ছেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। কিছুদিন আগেই পদ্ম শিবির থেকে আবারও তৃণমূলে ফিরেছেন সব্যসাচী। অতীতেও জোড়াফুল শিবিরে ছিলেন। বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়রও ছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ -এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকের মতোই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন নেতা। অমিত শাহের হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া ব্রিগেডে। ভোটে লড়াইও করেছিলেন। পরাজিত হন তৃণমূলের প্রার্থী সুজিত বসুর কাছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ক্ষেত্রে দল প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের নেতৃত্বে লড়াই করবে বলে স্থির করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অভিজ্ঞ মুখকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷ তবে যেহেতু বিধাননগর পৌরভোটের প্রার্থীতালিকায় সব্যসাচীর নাম বর্তমান, তাই দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব পুরোপুরি মিটিয়ে ভোটের লড়াই শুরু হচ্ছে, এমনটা বলা যায় না ৷ তৃণমূলের একটা অংশ ঘনিষ্ঠমহলে এ কথা বলতে শুরু করেছে যে, বিজেপিত্যাগের পুরস্কার হিসাবেই আবার সব্যসাচীকে প্রার্থী করছে দল ৷ আবার অপর অংশের মত হল, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা উপেক্ষা করে সব্যসাচীকে প্রার্থী না-করলে হয়তো বিধাননগরে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হত ৷ আর সেই কারণেই আবার সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী করেছেন দলনেত্রী ৷ তবে কলকাতা পৌর নির্বাচনের মতোই বিধাননগরের পৌরভোটে কাউকে মুখ না করায় ভোটের আগে অন্তত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি চাপা দেওয়া সম্ভব হবে ৷ এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল৷
একনজরে দেখে নিন বিধাননগরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা –
১ নম্বর ওয়ার্ড: পিনাকী নন্দী
২ নম্বর ওয়ার্ড: রহিমা বিবি মণ্ডল
৩ নম্বর ওয়ার্ড: আরাত্রিকা ভট্টাচার্য
৪ নম্বর ওয়ার্ড: শেহনওয়াজ আলি মণ্ডল
৫ নম্বর ওয়ার্ড: নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়
৬ নম্বর ওয়ার্ড: সম্রাট বড়ুয়া
৭ নম্বর ওয়ার্ড: দেবরাজ চক্রবর্তী
৮ নম্বর ওয়ার্ড: সুপর্ণা ঘোষ পাল
৯ নম্বর ওয়ার্ড: সমরেশ চক্রবর্তী
১০ নম্বর ওয়ার্ড: প্রণয় রায়
১১ নম্বর ওয়ার্ড: অনিতা বিশ্বাস
১২ নম্বর ওয়ার্ড: সেলিমা বিবি মণ্ডল
১৩ নম্বর ওয়ার্ড: মহম্মদ সিরাজ হক
১৪ নম্বর ওয়ার্ড: শিখা মোহন্ত
১৫ নম্বর ওয়ার্ড: সুজিত মণ্ডল
১৬ নম্বর ওয়ার্ড: জয়শ্রী বাগুই
১৭ নম্বর ওয়ার্ড: আশুতোষ নন্দী
১৮ নম্বর ওয়ার্ড: ইন্দ্রনাথ বাগুই
১৯ নম্বর ওয়ার্ড: পিয়ালি সরকার
২০ নম্বর ওয়ার্ড: প্রসেনজিৎ নাগ
২১ নম্বর ওয়ার্ড: মনোরঞ্জন ঘোষ
২২ নম্বর ওয়ার্ড: অতীন্দ্র সাহা
২৩ নম্বর ওয়ার্ড: ঝুঙ্কু মণ্ডল
২৪ নম্বর ওয়ার্ড: মণীশ মুখোপাধ্যায়
২৫ নম্বর ওয়ার্ড: পূর্ণিমা নস্কর
২৬ নম্বর ওয়ার্ড: সুশোভন মণ্ডল
২৭ নম্বর ওয়ার্ড: বিনু মণ্ডল
২৮ নম্বর ওয়ার্ড: প্রবীর সর্দার
২৯ নম্বর ওয়ার্ড: কৃষ্ণা চক্রবর্তী
৩০ নম্বর ওয়ার্ড: অনিতা মণ্ডল
৩১ নম্বর ওয়ার্ড: সব্যসাচী দত্ত
৩২ নম্বর ওয়ার্ড: কাকলি সাহা
৩৩ নম্বর ওয়ার্ড: বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৪ নম্বর ওয়ার্ড: রঞ্জন পোদ্দার
৩৫ নম্বর ওয়ার্ড: জয়দেব নস্কর
৩৬ নম্বর ওয়ার্ড: চামেলি নস্কর মণ্ডল
৩৭ নম্বর ওয়ার্ড: মিনু দাস চক্রবর্তী
৩৮ নম্বর ওয়ার্ড: আলো দাস দত্ত
৩৯ নম্বর ওয়ার্ড: রাজেশ চিরিমার
৪০ নম্বর ওয়ার্ড: তুলসী সিনহা রায়
৪১ নম্বর ওয়ার্ড: রত্না ভৌমিক
একনজরে দেখে নিন শিলিগুড়ির পূর্ণাঙ্গ তালিকা –
একনজরে দেখে নিন চন্দননগরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা –
একনজরে দেখে নিন আসানসোলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা –