দামোদর নদের চরে নামছে দু’টি হেলিকপ্টার। কিছুক্ষণ পর আবার তাঁরা রওনা দিচ্ছেন আকাশপথে। দু’দিন এমন ঘটনার সাক্ষী পূর্ব বর্ধমানের গলসির দাদপুর গ্রামের বাসিন্দারা। পূর্ব বর্ধমানের গলসির দাসপুরে নদীর চরে ২টি হেলিকপ্টার দুদিন পরপর নামায় জেলা প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পানাগড় বায়ুসেনার তরফেও বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান হেলিকপ্টার দু’টি বায়ুসেনার হেলিকপ্টার হতে পারে। গলসি ব্লকের পাশেই পানাগড়ে রয়েছে বায়ুসেনার ঘাঁটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পায় গলসির দাসপুরে দামোদররের চরে জোড়া হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দিচ্ছে। পরে সেই হেলিকপ্টার দু’টি সেখানে নামে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পরে হেলিকপ্টার গুলি উড়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দিও করেন। দিন কয়েক আগেও তারা এইভাবে নদীর চরে একটি হেলিকপ্টারকে নামতে দেখেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই খোঁজ খবর করতে শুরু করে জেলা পুলিশ। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে হেলিকপ্টার দু’টি বায়ুসেনার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত কোথাও কোনও হেলিকপ্টার নামা-ওঠা করলে সেটা জেলা পুলিশ আগেই জানতে পারে। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর কোনও হেলিকপ্টার নামা-ওঠা করলে সেটাও তারা জেলা পুলিশকে জানায়। এক্ষেত্রে জেলা পুলিশের কাছে কোনও খবরই ছিল না। তাই, জেলাপুলিশ বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়ু সেনার হেলিকপ্টার নেমেছিল গলসির দাদপুরে দামোদরের বালির চরে। ব্যারাকপুর থেকে উড়েছিল হেলিকপ্টার দুটি। বেছে নেওয়া হয়েছিল জন বসতিহীন ফাঁকা বালির চর। এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের প্রশিক্ষণের জন্যই নেমেছিল হেলিকপ্টার দুটি। জরুরিকালীন অবস্থায় ল্যান্ডিং এর মহড়াও চালানো হয়। তবে এই তথ্য আগাম জেলা পুলিশের কাছে ছিল না বলে জেলা পুলিশের বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।