কলকাতা ক্রাইম

মূক ও বধির তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

কলকাতায় এক মূক ও বধির তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণ । ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে প্রগতি ময়দান এলাকায়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম কামার আলম ওরফে রাজা। আনন্দপুরের পঞ্চাননগ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত । জানা গিয়েছে, ২৫ জানুয়ারির সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। রুবি এলাকায় একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করে বারুইপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী। ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যাতেও রুবি থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই সময় আম্বেদকর ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার সময়ই তাঁর হাত টেনে ধরে তাঁকে গাড়িতে তোলে অভিযুক্ত। তারপর অন্ধকার জায়গায় নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই মূক ও বধির ওই তরণীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। গাড়িটি এসি ট্যাক্সি ছিল বলে জানা গিয়েছে। আরও অভিযোগ, নির্যাতিতা ওই তরুণীর ব্যাগে ৫ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকাও নিয়ে নেয় অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ওই তরুণী প্রতিদিন পার্ক সার্কাস থেকে গাড়ি ধরতেন। সেদিন রাস্তা ভুল করে আম্বেদকর ব্রিজের দিকে চলে যান। তখনই ঘটনার শিকার হন। অভিযুক্ত ওই এলাকাতেই ঘোরাফেরা করে। সুযোগ বুঝে মূক ও বধির ওই তরুণীকে গাড়িতে জোর করে তুলে নেয় সে। একন ঘটনার কথা মেয়েটি তাঁর এক বন্ধুকে ইশারা করে জানায়। এরপরই বৃহস্পতিবার প্রগতি ময়দান থানায় পৌঁছন তরুণী। সেখানেই

২ জন ইন্টারপ্রিটারের সাহায্য নিয়ে পুরো ঘটনা সামনে আসে। নির্যাতিতা তরুণীর বিবরণ অনুসারে পুলিশ রুবি মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে গাড়ির নম্বর চিহ্নিত করা হয়। এরপর আনন্দপুর থানা এলাকায় গাড়ির মালিকের কাছে গিয়ে অভিযুক্তের সন্ধান মেলে। এরপরই আজ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ট্যাক্সিতে একটি বিশেষ চিহ্ন ছিল। সেই চিহ্নের সূত্র ধরেই আজ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ দিন অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।  সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় ছোটখাটো কাজ শুরু করে কামার আলম ৷ ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল গাড়ি চালানো ৷ এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে রাস্তায় গাড়ি চালানো ! সেই ইচ্ছে থেকেই একটি ট্যাক্সি কিনেছিল সে ৷ নীল-সাদা ট্যাক্সি হলেও তার উপরের দিকের অংশটি কালো রঙের । এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সন্ধ্যা হতেই পাড়ার রকে বসে আড্ডা এবং পথচলতি মহিলাদের কটূক্তি করার বদভ্যাস ছিল রাজার । তিনটে বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসার পর পরিবারে একাধিকবার ঝামেলা হয় ৷ এমনকি বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় ৷ পর্যন্ত পৌঁছে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর । কিন্তু কিছুতেই যে কিছু এসে যায় না তা রাজার এই কীর্তিতে স্পষ্ট । গত ২৫ জানুয়ারি এক মূক ও বধির ওই তরুণী প্রগতি ময়দান থানা এলাকার একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন ৷ মহিলাকে জোরপূর্বক ট্যাক্সিতে বসিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । আজই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে । আর তারপরই অভিযুক্তের একাধিক কুকীর্তি গোয়েন্দাদের সামনে আসছে ।