কলকাতা

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে বদলির আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

 রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দায়িত্বে আসার পর থেকেই শাসকদলের সঙ্গে ক্রমশ সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে পাশ হওয়া বিল আটকে রেখে কিংবা রাজ্যের জনগণের ভোটে জেতা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বাড়িয়েছেন অস্বস্তি। ইদানিং রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নিশানা করছেন রাজ্যপাল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার ও পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধেও যাচ্ছেন জগদীপ ধনকড়। তাই এই সমস্ত বিষয়ের জন্য সার্বিক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। অবিলম্বে এই রাজ্যপালকে সরানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন এক আইনজীবী। অভিযোগ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন তিনি। সে কারণেই ধনখড়ের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতিকে পার্টি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলাকারী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি, সংবিধান বর্হিভূত, সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মতো আচরণ করছেন তিনি। এমনকী, একের পর অসাংবিধানিক মন্তব্য করছেন রাজ্যপাল, দাবি মামলাকারী। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ পদ হয়েও এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যের কাজে বাধা দিচ্ছেন। তাই ধনকড়কে অবিলম্বে সরানোর দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী। তবে রাজ্যপালকে সরাসরি কোনও মামলার পক্ষ করা যায় না। তাই পরোক্ষভাবে তাঁকে মামলার পক্ষ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিভিন্ন ইস্যুতে টুইট-পালটা টুইট নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে এবার চরমে উঠেছে সংঘাত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে টুইটারে ব্লক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “উনি প্রতিদিন একটা করে টুইট করে কখনও অফিসারদের, কখনও আমাকে গালাগালি দিচ্ছেন। অসাংবিধানিক কথাবার্তা বলছেন। আমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন। তার মানে আমরা বন্ডেড লেবার। আমরা কি রাজ্যপালের কেনা গোলাম? তিনি হয়ে গিয়েছেন সুপার পাহারাদার। প্রতিদিন ওনার টুইট দেখে আমার বিরক্ত লাগে। উনি এমন এমন টুইট করেন যা অমানবিক। তাই ব্লক করলাম। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” এবার সেই লড়াই পৌঁছে গেল আদালতে।